রাজশাহীতে লাইব্রেরিয়ান থেকে কোটিপতি চেয়ারম্যান মতিন, নেপথ্যে ইয়াবা ব্যবসা!

রাজশাহীতে লাইব্রেরিয়ান থেকে কোটিপতি চেয়ারম্যান মতিন, নেপথ্যে ইয়াবা ব্যবসা!

তানোর প্রতিনিধি : সামান্য কলেজের লাইব্রেরিয়ান হয়ে হঠাৎ করে কোটিপতি হওয়ার নেপথ্যে মাদকের ব্যবসা বলে অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, আব্দুল মতিন আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে তার ছেলে নাজমুল ইসলাম ওরুফে রাকিবকে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করিয়ে আসছিলেন।

ঢাকাতে মাছের আড়ৎদারি করার নামে মাছের পেটের ভিতর করে ইয়াবা পাচারের রমরমা ব্যবসাও করে ধরা খেয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে । তবে এলাকাবাসীর ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছিলো চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের মাদক ব্যবসা। কিন্তু কথাই আছে চোরের ১০দিন পুলিশের ১দিন। তেমনি প্রায় হাজার পিচ ইয়াবাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি । এর আগেও ২বার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করলেও টাকার জোরে যেতে হয়নি জেল হাজতে। তবে এবার বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে মাদক মামলা দিয়ে পাঠিয়েছে জেলে।

এতে করে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের এমন দীর্ঘদিন ধরে করে আশা মাদক ব্যবসার গোমর ফাঁশ হয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর মহিলা কলেজের লাইব্রেরিয়ান পোস্টে চাকরি করলেও ঠিক মত হাজিরা না দিয়ে প্রতিমাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষ্ণপুর মহিলা কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, আমরা প্রভাষকের চাকরি করেও এককাঠা জমি কিনে বাড়ী করতে পারছিনা। আর চেয়ারম্যান লাইব্রেরী পোস্টে চাকরি করে রাজশাহী শহরে কিনছেন ফ্ল্যাট বাড়ি ও গ্রামে করেছেন বিলাশী বহল চোখ ধাঁধানো বিশাল আলিশান বাড়ী। যার খরচ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

কৃষ্ণপুর মহিলা কলেজের পেন্সিপাল আতাউর রহমান বলেন, আব্দুল মতিন লাইব্রেরিয়ান পোস্টে চাকরি করলেও নিয়মিত অফিসে আসেন না। তাকে কিছু বলাও যাবেনা কারন সে চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর জানান, এটা আর নতুন কি? আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের খোলস পরে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ঢাকাতে মাছের আড়ৎ করার নামে প্রায়দিন বড় বড় জাপানি, কাতলা মাছের ভিতরে ইয়াবা ঢুকিয়ে ঢাকা আড়তে বিক্রি করে আসছে চেয়ারম্যান ও তার পুত্র।

তিনি আরও বলেন, যদি প্রশাসন চেয়ারম্যানের চলাফেরায় একটু নজর রাখলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে। বিষটি নিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হয় নি। পর্ব-১

মতিহার বার্তা ডট কম  ২০ জুলাই ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply