আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার রাতভর প্রবল বর্ষণে ডুবু ডুবু মুম্বই। রাতভর এত জোরে বৃষ্টি হয়েছে যে ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে চলতে চলতে বাদলাপুর ও ওয়াঙ্গানির মধ্যে একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়তে হয়েছে মহালক্ষ্ণী এক্সপ্রেসকে। লোকালয়হীন এলাকায় ওই এক্সপ্রেসে আটকে পড়া যাত্রীদের জল ও খাবার দিতে ছুটে গিয়েছেন রেল পুলিশ বাহিনীর কর্মীরা। গিয়েছে মুম্বই পুলিশও। যাত্রীদের উদ্ধার করতে রওনা হয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) কর্মীরাও। গিয়েছে কপ্টার। গিয়েছে নৌকাও।
নাছোড় বৃষ্টিতে কিছুই দৃশ্যমান হচ্ছে না বলে ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে ১১টি বিমান। যে বিমানগুলির মুম্বইয়ে নামার কথা ছিল, সেগুলির পথ বদলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায় ট্রেন চলাচলও।
কাল রাতভর প্রবল বর্ষণে মহালক্ষ্মী এক্সপ্রেস থমকে যাওয়ায় ওই লাইনে পর পর সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে একের পর এক এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ফলে, ওই এলাকা ও লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে প্রায় ১২/১৪ ঘণ্টার জন্য দারুণ ভাবে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল।
প্রবল বর্ষণের জেরে মুম্বই ও তার লাগোয়া এলাকাগুলিতে ট্রেন পরিষেবার হালহকিকৎ জানাতে এ দিন মধ্যে রেলওয়ের তরফে টুইট করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, অম্বরনাথ, বাদলাপুর ও ভাঙ্গানির মধ্যে উল্লাস নদীতে জলোচ্ছ্বাসের ফলে কল্যাণ থেকে কারজাত বা খোপোলির মধ্যে ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মুম্বই ও তার লাগোয়া অন্য এলাকাগুলিতে ট্রেন চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক।
জলবন্দি হয়ে পড়ে কত জন নিখোঁজ রয়েছেন তার সন্ধান করা ও জলবন্দিদের উদ্ধার করার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আরও চারটি দল রওনা হচ্ছে বাদলাপুরে।
ঢুকতে হলে ট্রেনকে যে হতে হবে জাহাজ! বাদলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। শুক্রবার রাতে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে
গত কাল রাতভর বৃষ্টিতে মুম্বইয়ের সিওন ও চেম্বুর এলাকার মানুষজন হয়ে পড়েছেন ঘরবন্দি। প্রবল বর্ষণে রাস্তায় রাস্তায় ভীষণ জল জমে যাওয়ায় ভয়ঙ্কর যানজটে থমকে গিয়েছে গোটা মুম্বই শহর। বিমানবন্দরের দিকে যেতে হয় যে পথ ধরে সেই ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়েতেও যানজটে সার দিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ির পর গাড়ি।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৭ জুলাই ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.