মতিহার বার্তা ডেস্ক : মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার অনুমোদিত ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।
এ প্রকল্পে যাকে প্রকৌশলী নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি সেখানকারই আরেকটি প্রকল্পের প্রকৌশলী ছিলেন। তার গাফিলতির কারণে সরকারকে প্রচুর অর্থ গচ্চা দিতে হয়েছিল। যে কারণে সরকারের ক্ষতি হয়েছিল।
সেই প্রকৌশলী কীভাবে আবার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক হলেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই প্রকৌশলীর শাস্তি নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌরসভা সংরক্ষণের জন্য একটি সংশোধিত প্রকল্প এসেছে। এখানে আরেকটি প্রকল্প অতীতে করা হয়েছিল, যেখানে গাফিলতি ছিল। ফর রঙ অ্যাসেসমেন্ট ডান বাই ইঞ্জিনিয়ার। এই ইঞ্জিনিয়ারের ভুলের জন্য আমাদের বহু ক্ষতি হয়েছিল ওই প্রকল্পে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি, টাকা এভরিথিং জলে গেছে। তিনি বলেছেন, একই লোক নাকি আবার এখানে ইঞ্জিনিয়ার! তিনি বলেছেন, হাউ ইজ ইট পসিবল? তার ভুলের জন্য আমাদের এত বড় ক্ষতি হলো, তাকে তিরস্কার না করে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
আগের সেই প্রকল্পে একটা তদন্ত হয়েছিল। সেখানে প্রকৌশলীর গাফিলতির বিষয়টা উঠে এসেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে, সেটার ভালো জবাব একনেক সভায় পাননি প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে উপস্থিত (পানিসম্পদ) মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি অবহিত আছি। আমি নিজেই বিষয়টা দেখছি। আমি জোরালো ভূমিকা নেব। মন্ত্রী মহোদয়, সচিব মহোদয়– উভয়ই বলেছেন আজ তারা ফিরে গিয়েই শাস্তি বিধানের জন্য যেসব আইনানুগ প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো শুরু করবেন। সুত্র: জাগো নিউজ
মতিহার বার্তা ডট কম ২০ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.