শিরোনাম :
সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক পত্রিকা অফিসে দূস্কৃতিকারীদের ককটেল হামলা ও সিটি ক্যামেরা ভাংচুর নগরীর মতিহারে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের হুমকি! ভয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলেন বিধবা নারী (ভিডিও) গোদাগাড়ীতে ১০লাখ টাকার হেরোইন-সহ ৩জন মাদক কারবারী গ্রেফতার নগরীর তালাইমারীতে গাঁজা কারকারী মল্লিক গ্রেফতার রাজশাহীতে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভার সিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটকে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী চিপস্ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি নাইম গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপি’র নোটিশ জারি তানোরে ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল গ্রেফতার কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা তানোরে চোরাপথে আশা মানহীন সারে বাজার সয়লাব
রাজশাহী রেলওয়ের এসএসএই অফিসে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

রাজশাহী রেলওয়ের এসএসএই অফিসে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এসএসএই/ইলেকট্রিক্যাল অফিসে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কর্মবণ্টনসহ নানা বিষয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।

রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নিয়মিত ও ঠিকমত ডিউটি না করেই দফতরের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিএ বিল উত্তোলন করে যাচ্ছেন। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও পরবর্তীতে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত হাজিরা অর্থাৎ উপস্থিতি দেখাচ্ছেন।

আর এ কাজের সাথে ওই অফিসের সিনিয়র সাব ট্রেন লাইটিং শাখার কর্মকর্তা এসএসএই (টিএল) মোঃ আবুল হাসান সম্পৃক্ত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করেছেন।

তারা আরো বলেন, আবুল হাসান নিজেও টিএ বিল উত্তোলন করছেন মাসে ২০-২২ হাজার টাকা। স্বজনপ্রীতি করে পাওয়ার কারের ড্রাইভারদের ডিউটি ভাগ করেন তিনি।

পাওয়ার কারের ড্রাইভারদের কাজ ডিজেল সরানো ও বিনা টিকেটের যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা, যা নিয়ম বহির্ভূত।

এ ছাড়া ট্রেনের এটেনডেন্টরা টাকা দিলেই ইচ্ছামত ডিউটি দিয়ে থাকেন ঢাকাগামী ট্রেনগুলিতে। এতে করে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, ট্রেনে ইলেকট্রিক্যাল চাহিদা তৈরি করেন আবুল হাসান এবং মালামাল রিসিভও করেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ঠিকাদারের কাছ থেকে ৫% কমিশন তার জন্য বরাদ্দ থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল হাসান মূলত পূর্বে একই অফিসের এসএই (টিএল) পদে কর্মরত ছিলেন। পরে উর্ধতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এসএসএই (টিএল) পদ দখলে নিয়েছেন বলে অফিস সুত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হাসান বলেন, টিএ বিল ব্রিটিশ আমল থেকে হয়ে আসছে এভাবেই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, যা করা হচ্ছে তা নিয়মের মধ্যে থেকেই। তাছাড়া এখানে কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম করা হয় না বলেও দাবি করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এই অফিসে মঞ্জরীকৃত পদের সংখ্যা ৫৭ জন। আর কর্মরত আছেন ৪৩ জন। শূন্যপদ রয়েছে ১৪টি। জনবল সংকটের কারণে কাজ করতে হিমশিম খেতে হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আপনারা টিকিট কালোবাজারির বিষয়ে কিছু লিখেন না কেন? সেখানে এত বড় দুর্নীতি হচ্ছে। ছোট খাটো বিষয় নিয়ে আপনারা শুধু মাতামাতি করেন।

এ বিষয়ে বিভাগীয় বৈদুত্যিক প্রকৌশলী (ডিইই) পাকশী মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের আভিযোগ সঠিক না বলে আমি মনে করি। যদি এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মতিহার বার্তা ডট কম  ২৫ আগস্ট  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply