মতিহার বার্তা ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যৌতুকের দাবিতে কুলছুমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর চোখের পর্দার ওপরে ও বুকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও পিঁড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হেয়েছে। গৃহবধূর মা কাঞ্চনী বেগম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মো. শাহেনূর মামলাটি আমলে নিয়েছেন। এটি তদন্তের জন্য রায়পুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১২ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য বলা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ কুলছুমা আক্তার রায়পুর উপজেলার পশ্চিম চরপাতা গ্রামের আবদুল হক ও কাঞ্চনী বেগমের মেয়ে। ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট সোনাপুরের চরবগা গ্রামের মৃত সফিক উল্যার ছেলে ফয়সালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর বিদেশ যাওয়ার কথা বলে কুলছুমাদের বাড়ি থেকে ফয়সাল দেড় লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু তিনি বিদেশ না গিয়ে স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার ও দেড় লাখ টাকা বেহিসেবিভাবে খরচ করে ফেলেন। গত ৮ আগস্ট ফের এক লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে বললে কুলছুমা রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফয়সালসহ আসামিরা লাঠিসোটা, পিঁড়ি দিয়ে কুলছুমাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এ সময় পিঁড়ির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়। এক পর্যায়ে সিগারেটের আগুন দিয়ে তার (কুলছুমা) বাম চোখের ওপরে, ডান চোখের কোনায় এবং বুকে ছ্যাঁকা দেয়া হয়। এছাড়াও ব্লেড দিয়ে তার ডান হাতের আঙ্গুলের মাথা কেটে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৬ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.