শিরোনাম :
সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক পত্রিকা অফিসে দূস্কৃতিকারীদের ককটেল হামলা ও সিটি ক্যামেরা ভাংচুর নগরীর মতিহারে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের হুমকি! ভয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিলেন বিধবা নারী (ভিডিও) গোদাগাড়ীতে ১০লাখ টাকার হেরোইন-সহ ৩জন মাদক কারবারী গ্রেফতার নগরীর তালাইমারীতে গাঁজা কারকারী মল্লিক গ্রেফতার রাজশাহীতে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভার সিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটকে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রুপান্তর করতে হলে সকল ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী চিপস্ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা: আসামি নাইম গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আরএমপি’র নোটিশ জারি তানোরে ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইকবাল গ্রেফতার কৃষিতে বির্পযয়ের আশঙ্কা তানোরে চোরাপথে আশা মানহীন সারে বাজার সয়লাব
প্রবাসী স্বামীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কারাগারে বাবাসহ নারী পুলিশ

প্রবাসী স্বামীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কারাগারে বাবাসহ নারী পুলিশ

মতিহার বার্তা ডেস্ক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় মিমি আক্তার (২০) নামে এক নারী পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ সময় ওই নারী পুলিশ সদস্যের বাবা মন্নান সিকদারকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-ফয়সাল তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মিমি আক্তার ঢাকা মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনসে কর্মরত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের নুরুল ইসলাম ফরাজীর ছেলে ফিরোজ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী। সিঙ্গাপুর থাকা অবস্থায় ফিরোজের বাবা-মা ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে শুরু করেন। সেই সূত্র ধরে কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের আ. মন্নান সিকদারের মেয়ে মিমি আক্তারকে পছন্দ করেন এবং উভয়পক্ষ পারিবারিকভাবে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।

পরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণালঙ্কার পরিয়ে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হবে বলে কথা হয়। এরপর উভয় পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ছেলে-মেয়ের মধ্যেও মোবাইলে যোগাযোগ হয়। মেয়েকে নতুন মোবাইল ফোন দেয়া হয়। মেয়ের পড়াশোনার খরচও ছেলে বহন করে। এছাড়া চাকরির কথা বলে ছেলের কাছ থেকেও নেয়া হয় টাকা। মেয়ে ও মেয়ের মা-বাবা ছেলের কাছ থেকে মালামালসহ চার লক্ষাধিক টাকা নেয়।

এদিকে মিমির পুলিশে চাকরি হয়। কিন্তু ফিরোজ দেশে এসে মিমিকে বিয়ে করতে চাইলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ফেরত চাইলে মেয়ে ও মেয়ের বাবা-মা দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

এ ঘটনায় ফিরোজের বাবা নুরুল ইসলাম ফরাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিমি ও তার মা-বাবাকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত মিমি ও তার বাবা মন্নান সিকদারকে জেলহাজতে পাঠান এবং মিমির মা খাদিজা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন।

মতিহার বার্তা ডট কম  ৩০ আগস্ট  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply