রাজশাহী বানেশ্বরে বিএমডিএর খালে পাট জাগ দিতে বাধা’ ক্ষতির মুখে চাষীরা

রাজশাহী বানেশ্বরে বিএমডিএর খালে পাট জাগ দিতে বাধা’ ক্ষতির মুখে চাষীরা

পুঠিয়া প্রতিনিধি : পুঠিয়ার বানেশ্বরে বিএমডিএর খালে পাট জাগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বানেশ্বর থান্দার পাড়ায় গত দুই সপ্তাহ থেকে এলাকার পাট চাষীরা পাট জাগ দিতে না পেরে বাধ্য হয়ে অনেকে পাট শুকিয়ে খড়ি করেছে অনেকেই প্রাই দুই কিলোমিটার দুরে নামজগ্রামের বিএমডিএর খালে পাট জাগ দিতে বাধ্য হয়েছে।

এতে তাদের পাটের বহন করে নিয়ে যেতে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে। ফলে ঐই এলাকার পাট চাষীরা লোকসানের মুখে পড়বে বলে অনেক চাষীরা অভিযোগ করেছেন। খোজনিয়ে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলার বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও এলাকার কৃষদের কৃষিকাজের সুবিধার জন্য উপজেলার প্রায় প্রতিটি খাল ও নদী পুনঃখনন কাজ করে আসছে। এসব খাল বা নদীর পানি এলাকার কৃষকের তাদের কৃষি কাজে ব্যবহৃত করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। অবৈধ দখল মুক্ত ও বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নদী গুলি পুনঃখনন করে উপজেলার ৬’শ ৫০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছে বলে বিএমডিএ অফিস জানিয়েছে।

তবে মাছ চাষের জন্য উপজেলার বিএমডিএর খাল ও নদীতে অবৈধ ভাবে দখল করে অস্থায়ী বাঁশের ও নেট জালের বাধ দিয়ে মাছ চাষ করছে এলাকার অনেক প্রভাবশালীরা। কর্তৃপক্ষর নজর দারীর অভাবে এসব প্রভাবশালীর অবৈধ ভাবে এসব খাল বা নদী দখল করে চলেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বানেশ্বর খান্দার পাড়ার বিএমডির খাল দখল করেছে প্রভাবশালী সাহাবুদ্দিন, ফরমানসহ কয়েকজন। তারা বর্তমানে এই খালে দুই ধারে বেরিকেট দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এই খালে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার পাট চাষীরা পাট জাগ দিয়ে আসেছেন। এবছর পাট জাগ দিতে গেল সাহাবুদ্দিন ও ফরমান পাট জাগ দিতে বাধা দেয়। পাট জাগ দিতে না পারায় অনেকেই খালের ধারে পাট ফেলে রেখে চলে যান।

বানেশ্বর থান্দার পাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন ও ফরামন খালটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন বলে তারা জানান। এছাড়া ঔই গ্রামের কৃষক রুস্তুম আলী ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে এই খালে পাট জাগ দিয়ে থাকি। এই খালে পাট জাগ দেওয়া যাবেনা জানলে পাটের আবাদ করতাম না। বর্তমানে আমদের গ্রামের পাট চাষীরা পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছে। পাট জাগ না দিতে পেরে আনেকেই পাট সুকিয়ে খড়ি করতে বাধ্য হচ্ছে। এ ভাবে চললে আমরা আগামীতে পাটের আবাদ করবো না।

এবিষয়ে পুঠিয়া বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা জানান, নদী খালগুলি পুনঃখনন  করার সময় আমাদের অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। নদী খাল কোনটি আমরা কাউকে ইজারা দেয়নি। অবৈধ দখল মুক্ত করতে হলে উপজেলা প্রশাসনে হস্তপক্ষে প্রয়োজন হয়।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply