নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের দাবিতে রাজশাহীর মোহনপুরে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন (২১)। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের সামনে বিষপান করেন কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন। পরে প্রেমিক মাহাবুর রহমানের পরিবারের লোকজন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানেই প্রেমিকা কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়।
নিহত কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন মোহনপুর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের মেয়ে। তিনি পবার নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়তেন। আর প্রেমিক মাহাবুর রহমান (২২) একই উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র।
নিহত কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন ও মাহাবুর রহমানের সম্পর্কে ফুফাতো বোন। ওই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
নিহত কলেজছাত্রীর ভাই শাওন জানান, গতকাল বুধবার সকাল ৯টার সময় জরিনা খাতুন কলেজে যাওয়া কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বেলা ৩টার সময় তারা জানতে পারেন জরিনা খাতুন মাহাবুর রহমানের বাড়িতে বিষপান করার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
মাটিকাটা গ্রামে গিয়ে স্থানীয়রা জানান, নিহত কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন গতকাল বুধবার দুপুরে সাড়ে ১২টার সময় বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক মাহাবুর রহমানের বাড়িতে আসেন। ওই সময় মাহাবুর রহমানসহ তার বাবা মা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন বিয়ের জন্য মাহাবুর রহমানকে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু মাহাবুর রহমান তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সবার সামনে বিষপান করেন জরিনা খাতুন।
এ সময় তার পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে প্রেমিক মাহাবুর রহমানের পরিবারের লোকজন জরিনা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। কিছুক্ষণ পর কলেজছাত্রী মারা যান। ঘটনান পর প্রেমিক মাহাবুর রহমান কৌশলে পালিয়ে যান। মারা যাওয়ার খবর পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান নিহত কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, কলেজছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে রাজপাড়া থানায় একটি (ইউডি) অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। কলেজছাত্রীর পরিবার থেকে কোন অভিযোগ দিলে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।
মতিহার বার্তা ডট কম – ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.