ভারত-চীনে প্রবেশমুখ বাংলাদেশ : সুযোগ কাজে লাগানোর পথ খুঁজছে এডিবি

ভারত-চীনে প্রবেশমুখ বাংলাদেশ : সুযোগ কাজে লাগানোর পথ খুঁজছে এডিবি

মতিহার বার্তা ডেস্ক : প্রথমবারের মতো ‘দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন সপ্তাহ ২০১৯: ডেলিভারিং ফাস্টার, বেটার, স্ট্রংগার ডেভেলপমেন্ট আউটকামস’ পালন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির ৬৮টি সদস্য দেশের মধ্যে প্রথমবারের এই আয়োজন শুরু হয়েছে ঢাকায়। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন শুরু করে এডিবি। এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।

ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘ভারতের পূর্বাংশের প্রবেশপথ বাংলাদেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসংস্থার (আশিয়ান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা) প্রবেশপথ এবং চীন, ভুটান ও নেপালের দক্ষিণে প্রবেশপথও এই বাংলাদেশ। ভালো করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের এবং এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করব, কীভাবে এই সুযোগকে কাজে লাগানো যায়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করেছে। এই সময়ে গড়প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশকে এখন প্রবৃদ্ধির মডেল হিসেবে দেখা হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দেশটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের পথে রয়েছে দেশটি।’

বাংলাদেশের সাফল্যের দিকগুলো তুলে ধরে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। পোশাকশিল্পে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় রফতানিকারক। তৃতীয় বৃহত্তম শাকসবজি উৎপাদক, চতুর্থ ধান উৎপাদক এবং বিশ্বে সপ্তম বৃহত্তম আম উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। অল্প যে কয়েকটি দেশ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। গত এক দশকে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে এখানে। প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিক্ষা ও নারী শিক্ষার হার বেশি। বর্তমানে ৯৮ শতাংশ মেয়ে শিশু প্রাথমিক শিক্ষা নিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও তারা সফল। মানব উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো করেছে বাংলাদেশ।’

এডিবি ৪৬ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। এডিবির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ বাংলাদেশে। বর্তমানে এডিবির দেয়া ঋণে বাংলাদেশে ৫৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান। টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিদেশি সংস্থা, রাষ্ট্র বিনিয়োগ করলে, তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুন্দর অতীত রয়েছে। আমাদের জনবল রয়েছে। রয়েছে ভূমিও। আমাদের এখন বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিনিয়োগকারী লাভবান হবে, দেশও লাভবান হবে। এডিবি বিনিয়োগ করলে আমাদের পাশাপাশি তারাও লাভবান হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম  ২২  মেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply