নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষনা দেওয়ার পর সারাদেশে প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা নড়ে চড়ে বসেন। শুরু হয় দেশ ব্যপি মাদক বিরোধী অভিযান। পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে অনেক মাদক ব্যবসায়ী। বর্তমানেও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
সম্প্রতী রাজশাহী নগরীতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাদকের গড ফাদারারা ও মধ্যম ব্যবসায়ীরা। রাজশাহী নগরীর জুড়ে এমন কোন এলাকা নাই যেখানে মাদকের ব্যবসা নাই।
নগরীর মতিহার থানাধিন ডাসমারী এলাকায় একাধিক মাদক মামলার আসামী ও ফেন্সিডিলের ডিলার পালা, জামাল ও তেল রফিক ডাসমারী এলাকার ভাইরাস। পুলিশ, ডিবি পুলিশের হাতে এরা কতবার আটক হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। তাদের নামে মাদকের মামলাও আছে একাধিক। এরা আটক হয় আবার জেল থেকে বের হয়ে এসে পূণরায় শুরু করে হেরোইন, ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা।
এদের মাদক ব্যবসা বন্ধের বিষয়ে বলবে এমন সাহস ওই এলাকার কারো নাই।
প্রকাশ্যে বলে কতবার পুলিশ ধরবে ধরুক, মাদক ব্যবসা ছাড়া যাবেনা। এদের কাছে অসহায় ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা চান এদের স্থায়ী ব্যবস্থা। যাতে তারা আর মাদক ব্যবসা না করে।
নেপথ্যে রয়েছে চরের ইমরানের ছেলে কুখ্যাত বিখ্যাত মাদকের ডিলার আক্কাস। আর তাই মাদকের বড়বড় চালান তুলতেও এদের কোন অসুবিধা নাই। যত টাকার ফেন্সিডিল লাগবে বাঁকিতে দিচ্ছে আক্কাস। কারন লেবার আক্কাস এখন কোটিপতি। ভারতের ১০ নং পিলারে বসেই পরিচালনা করছে মাদকের চোরাচালান। রয়েছে ডাসমারী, দারুসা, ও নওগাঁয় শতশত বিঘা জমি ও বাগান বাড়ি। আর ট্রাকের ব্যবসা। এপারে তার ভাই ভাতিজারাও আছে দেখাশোনো করছে ট্রাকের ব্যবসা আর মাদকের টাকা আদায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাসিক ২৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক এক কাউন্সিলর বলেন, মাদক ব্যবসায় পালা, জামাল, তেল রফিক একবারেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের থামানো না গেলে এলাকার যুবকদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবেনা।
মতিহার থানার বর্তমান ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান যোগদানের পর মাদকের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযানে মতিহার থানা এলাকায় অনেক মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। কিন্তু পালা, জামাল পদ্মার মিডিল চরে বাড়ি বানিয়ে রাতে সেখানে থাকছে আর দিনে তাদের চ্যালাদের মোবাইল হাতে প্রহরা রেখে ডাসমারী এলাকায় চালাচ্ছে মাদকের ব্যবসা। জেল থেকে বেরিয়েছে তেল রফিক সে এখন পালার পার্টনার। ইয়াবা-হেরোইন-ফেন্সিডিল কোন মাদকেরই কমতি নেই তাদের কাছে। ২৪ ঘন্টা চালাচ্ছে মাদকের ব্যবসা।
একাধিক স্থানীয়রা বলেন, তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধের বিষয়ে বল্লে মারধর করাসহ মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় তারা।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, মাদকের সাথে কোন আপস নাই। ছাড় দেয়া হবেনা কোন মাদক ব্যবসায়ীকেই। পালা, জামাল, তেল রফিকের বিরুদ্ধে দফায় দফায় অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্ত তারা পদ্মার চরে থানায় তাদের ধরা যাচ্ছে না। কারন পদ্মার চর-কাটাখালি থানা এরিয়ার মধ্যে পড়েছে। তবে তাদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
মতিহার বার্তা ডট কম ২২ মেপ্টেম্বর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.