উচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ নেই রাজশাহীর প্রভাবশালী নেতার!

উচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ নেই রাজশাহীর প্রভাবশালী নেতার!

নিজস্ব প্রতিবেদক : উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আর জেলা প্রশাসকের নিদের্শ অমান্য করেই শুরু করা হয়েছে তালাইমারী বালু ঘাটে বালু উত্তোলন ও পরিবহন। ঘাটটিতে ভেকু মেশিন দিয়ে ডাম-ট্রাকে বালু লোড করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

অবৈধ বালু ঘাট বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, মহামান্য হাইকোট এবং জেলা প্রশাসককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে অর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে রাজশাহীর অন্যান্য বাঘু ঘাটের ইজারাদারগণ।

যারা লক্ষ টাকার ঘাট কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন, তাদের নিয়ে প্রশাসনের তথা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের সূদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যাতে পথে না বসে সেদিকে লক্ষ্য রেখে অবৈধ তালাইমারী বালু ঘাট বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানান তিনি।

উল্লেখ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত (২৪ জুলাই ২০১৯) জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বালুঘাটটি বন্ধ করে দেয়। জব্দ করা হয় ভেকু ও আনলোড মেশিনের ব্যাটারী। আটক করা হয়েছিল ট্রাক চালকসহ আট জনকে। ভ্রাম্যমান আদালত কতৃক ১ মাস মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ৬ জনকে। আর ১৫ দিন করে সাজা হয়েছিল ২ জনের।

ওই দিনই জেলা প্রশাসন একটি সাইন বোর্ড পুতে যায় তালাইমারী ঘাটটিতে সেখানে বিজ্ঞপ্তিতে পরিস্কার বাংলায় লেখা আছে। “ মহামান্য হাইকোট বিভাগের রিট পিশিটন নং ৬৫২১/২০১৯ এর আদেশ মোতাবেক মৌজা/কাজলাঘাট ব্যবহার করে সকল ধরনের বালু উত্তোলন/ বালু পরিবহন নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। -আদেশক্রমে জেলা প্রশাসক. রাজশাহী।

তালাইমারী বালু ঘাটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, বালু উত্তোলনকারী উচ্চ আদালতে পুর্বের আদেশের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন, এবং এ মামলার প্রেক্ষিতে কোর্ট একটি অদেশ দিয়েছেন যেটা আমাকে দেখে বলতে হবে।

মাদক বিরোধী, দু্র্নিতীবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সামাজিক নানা অপরাধের বিরুদ্ধে যখন সরকার শক্ত অবস্থানে তখন রাজশাহীতে সরকারের একটি প্রভাবশালী মহল কি ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।

অপর দিকে গত ২১ শে সেপ্টেম্বর রাসিক ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু তিনি তার ফেসবুকে একটি স্টাটাসে উল্লেখ করেন  

ঘুষখোর,দু্র্নিতীবাজ, চাঁদাবাজ,দখলবাজ, লুটপাট কারী, মাদক ব্যবসায়ী,ভুমিদস্যু,জুয়াড়ী,ভেজাল কারী,চোরাকারবার কারী, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী, প্রতারণা কারী ,চিকিৎসার নামে ভুয়া ডায়োগনিষ্ঠ কারী,সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা কারী,সরকারী অর্থ তোসরুপ কারী এবং সামাজিক নানা অপরাধে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দেশের সরকার ব্যবস্থা নিবে এটাই সরকারের দায়িত্ব। অপরাধীদের কোন দল থাকে না, এরা যে দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটা দেশের অধিকাংশ মানুষ দেখতে চায়। আশাকরি সরকার শক্ত অবস্থানে থাকবে। এবং সকল অপরাধ দমনে সফল হবে।

এ মন্তব্যে রাজশাহী শহর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান কমেন্ট করে বলেন, দেশের মানুষের অনেক দিনের আশা এই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা জরুরী নিলে দেশের মানুষ শান্তি পাবে এবং খুব খুশি হবে বলে ধন্যবাদ জানান কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবুকে।

মতিহার বার্তা ডট কম – ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply