নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বাকি আর মাত্র দুই দিন। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জালিয়াতি চক্র ঠেকাতেও তৎপর প্রশাসন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় প্রশাসনের উদ্যোগে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে অন্যতম বিনা ভাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসগুলোতে দুদিন অবস্থান করতে পারবে তারা। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রী হল এলাকার ব্যায়ামাগারে দুই শতাধিক নারী অভিভাবকের রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করেছে। সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য ক্যাম্পাসজুড়ে থাকবে হেল্পডেস্ক। আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর তিনটি ইউনিটে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে প্রশাসনের সাথে মেস মালিকদের বৈঠকে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে মেস মালিকরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহাযোগীতার জন্য ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ ৮টি স্থানে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে।
সহকারী প্রক্টরগণ এসব হেল্পডেস্কে উপস্থিত থেকে পরীক্ষার্থীদেরকে সহায়তা করবেন। এছাড়া স্কাউট, বিএনসিসি সদস্যরা সহায়তার জন্য অবস্থান করা হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসে কোন জেলা সমিতি বা সংগঠন কেউ কোন ধরনের বুথ, স্টল কিংবা ডেস্ক স্থাপন করতে পারবে না।
প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা যায়, সঠিক মূল্যে খাদ্যসেবা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসের রেস্টুরেন্ট মালিকদেরকে খাদ্যম‚ল্য তালিকা জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রক্টর দফতর। এছাড়া ২০ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে ২২ অক্টোবর বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সকল কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ক্যাম্পাসের বাসের সময়স‚চিতে পরিবর্তন এনেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতর। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন দুইদিন বাসগুলো সকাল ৭টা, ৮টা, দুপুর ১টা ৫০ ও বিকেল ৫টা ২০ মিনিট এ ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে।
গন্তব্যস্থল থেকে আধঘণ্টা পরপর ক্যাম্পাসে ফিরবে বাসগুলো। ভর্তিচ্ছুদের অভিভাবকদের থাকার জন্য প্রথমবারের মতো ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অবস্থিত নারীদের ব্যায়ামাগারে নারী অভিভাবকরা পরীক্ষা চলাকালীন দুদিন থাকতে পারবেন।
রাজশাহী মহানগর মেস মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ভর্তিচ্ছুদের থেকে আমরা এবার কোন টাকা নিচ্ছি না। এর আগের বছর কয়েকজন মেস মালিক অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছিলো। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। কোন মেস মালিক যদি এই গৃহীত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, দ‚র থেকে আসা ভর্তি পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ও বাইরে মেসে অবস্থান করে। মেস মালিকদের সাথে কথা বলে আমরা ভাড়া না নিয়ে পরীক্ষার্থীদের থাকতে দেয়ার জন্য বলেছি। তারা আমাদেরকে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রক্টর আরও বলেন, গতবারের তুলনায় এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের অসহায়াত্বকে পুঁজি করে কখনো কখনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বের সাথে বিষয়টি নজর রাখবে।
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৮ অক্টোবর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.