নামাজে যেতে বলায় রাজশাহীতে পুলিশকে গালীগালাজ করলেন, আ’লীগ নেতা

নামাজে যেতে বলায় রাজশাহীতে পুলিশকে গালীগালাজ করলেন, আ’লীগ নেতা

নামাজে যেতে বলায় রাজশাহীতে পুলিশকে গালীগালাজ করলেন, আ’লীগ নেতা
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ঘড় নির্মান

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাঁয়ে মানে না আপনি মড়ল, রাজশাহী নগরীর মতিহারে বাজে কাজলা এলাকায় একটি বাড়ি নিয়ে সৎমা জাহানারা বেওয়া- মেয়ে হানুফার মধ্যে গত ৩মাস যাবত মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে।

এ নিয়ে স্থানীয় ২৮ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সহ-সভাপতি মুনতাজ বারবারই সেচ্ছায় দ্বন্দে জড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় ওই জমির ক্রেতা দাবি করে ইমারতের কাজ করছিলেন, মো. খোরসেদ আলম পরামানিক। এ সময় বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি অবগত করে কাজ বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন এসআই সাহাবুল। সাথে পরামর্শ দেন বিজ্ঞ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য।

  সেখানে উপস্থিত স্থানীয় আ’লীগ নেতা মুনতাজ বলেন কাজ বন্ধ করা যাবেনা যা পারেন করে নিয়েন। এছাড়াও অসংলগ্ন আইন বিরোধী কথা বলে দ্বন্দ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। এসআই চলে আসার পর মুনতাজ জোর পূর্বক নির্দেশ দিয়ে পূণরায় কাজ শুরু করান।

পরে বিবাদী হানুফা ৯৯৯- জাতীয় সেবা কেন্দ্রে কল দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে এসআই তার কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধের জন্য বল্লে মুনতাজ এগিয়ে এসে এসআইকে খাগড়াছড়ি, বান্দরবন পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করাসহ অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে জানতে সদ্য ক্রেতা জমির মালিক আলমের স্ত্রী দিলারা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কোন নেতাকে ডাকিনি। তিনি সেচ্ছায় এসেছেন।

হানুফা বেগম বলেন, আমার বাবা মোঃ রসিম উদ্দিন ওই বাড়ি ১৯৭৫ সালে আমাকে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। বাবার মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে।

২০০৭ সালে আমার সৎমা জাহানারা দাবি করেন, এই বাড়ি আমার নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। এরপর থেকেই আমার সৎ মায়ের সাথে আমার দ¦ন্দ সৃষ্টি হয়।

পরে ওই জমি গত ১০-১০-২০১৯ তারিখে মামলা চলাকালীন অবস্থায় আলমের নিকট জমিটি বিক্রি করে দেন আমার সৎমা।

এ নিয়ে আমি আদালতে মামলা চালিয়ে আসছি। কিন্তু সমস্য সৃষ্টিকারী একমাত্র মুনতাজ নেতা। তিনি গায়ে পড়ে গালিগালাজ হুমকি ধামকি। আর গায়ের জোরে আদালতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইমারত নির্মানসহ সকল প্রকার উস্কানী মূলক কর্মককান্ড চালিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে ২৮ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আনন্দ বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে মুনতাজের এ ধরনের কর্মকান্ড ঠিক হয়নি।
এসআই সাহাবুল বলেন, আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে দেয়া আদেশ জানাতে গিয়ে নেতা মুনতাজ আমার সাথে খারাপ আচারন করা সহ আমার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন। তখন যোহরের নামাজের সময় হওয়ায় আমি তাকে নামাজে যাওয়ার জন্য বলি।

এতে নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মুখে যা আসে তাই বলে আমাকে গালি-গালাজ করেন ও খাগড়াছড়ি-বান্দরবন দেখিয়ে হুমকি প্রদান করেন।  

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৯ নভেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply