এসএম বিশাল : দফায় দফায় বেড়েই চলেছে মূল্যবৃদ্ধি রাজশাহীর বাজারে। ৭০টাকার নিচে নেই সবজির দাম। এছাড়াও অতিমাত্রায় বেশি দামে বিক্রি হয়েছে শীতকালীন শাক-সবজি। এতে সবজি ক্রয় করতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের সবজির কেজি প্রতি প্রায় ১শ’ টাকা ছুঁইছুঁই। রাজশাহীর সাহেববাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে সব রকমের সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। সবজির তুলনায় দাম কম মাছ-মাংসের। বেশ কিছু সবজির দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। সেখানে পোল্ট্রি মুরগি ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি হওয়ায় সবজি খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছেন তারা, তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় কিনছেন মাছ-মাংস।
নগরীতে বেগুন কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা, পটল ১৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় ও গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া করলা বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর ৫ টাকা বেড়ে বহুল ব্যবহৃত সবজি আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে ঢেঁড়স ৫০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আদা-রসুনের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও আরেক দফা বেড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। আর কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে।
পেঁয়াজ ও মরিচ বিক্রেতা শাহীনুর ইসলাম বলেন, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বাজারে না থাকায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ছে। আর বন্যায় রাজশাহীর মোহনপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা এলাকা ডুবে যাওয়ায় কাঁচা মরিচসহ সব সবজির দাম আরও বাড়বে।
এদিকে, বাজারে শীতকালীন সবজির আমদানী হলেও অতিরিক্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে; যা নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর ৮০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ফুলকপি ৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ টাকা ও টমেটো ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১০ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.