রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মজমুল হক আপন। তার বাবা আব্দুস সাত্তার ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ক্যান্সার তৃতীয় ধাপে পৌঁছে যাওয়ায় শিগগিরই তাকে কেমোথেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এ জন্য প্রয়োজন ৩ লাখ টাকা। কিন্তু চরম অর্থনৈতিক সংকটের কারণে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মজমুলের দরিদ্র পরিবার।
মজমুল হকের বাড়ি রংপুরের কোতোয়ালি উপজেলার মমিন পুর ইউনিয়নের বড় মটুক পুর গ্রামে।
মজমুল হক জানান, তার বাবা আব্দুস সাত্তার একজন বর্গাচাষী। এ বছরের শুরুর দিকে কাজ করার সময় মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে দীর্ঘদিন যাবত শয্যাশায়ী। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সম্প্রতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্যান্সার তৃতীয় ধাপে থাকায় চিকিৎসক দ্রুত কেমোথেরাপি দিতে বলেছেন।
মজমুল হক বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. স্বপন কুমার নাথের কাছে বাবার চিকিৎসা চলছে। কেমোথেরাপি, ওষুধ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক চিকিৎসার জন্য প্রায়
৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। বাবার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলেও অর্থের অভাবে এখনও চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্বল বলতে কিছুই নেই। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে বাড়ির একটি ছাগল বিক্রি করে টাকা যোগাড় করতে হয়েছিলো। নিজের চোখের সামনে বাবা কাতরাচ্ছে, অথচ কিছুই করতে পারছি না। সর্বস্ব দিয়েও এই মুহুর্তে আমার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের সহায়তা চেয়েছে মজমুল হক।
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৬ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.