রাজশাহীতে প্রকৌশলীর নারী কেলেঙ্কারি: ঘুষের টাকা নিয়ে তোলপাড়!

রাজশাহীতে প্রকৌশলীর নারী কেলেঙ্কারি: ঘুষের টাকা নিয়ে তোলপাড়!

রাজশাহীতে প্রকৌশলীর নারী কেলেঙ্কারি: ঘুষের টাকা নিয়ে তোলপাড়!

স্টাফ রিপোর্টার : নারীসহ আটকের পরও আইনের আওতায় আসেনি নওহাটা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌফিক হাসান। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, জমি কেনার সুবাদে জৈনক নারী সাথে পরিচয় হয় তৌফিক হাসানের।পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় নওহাটা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌফিক হাসান তার পরকিয়া প্রেমিকা এয়ারপোর্ট থানাধীণ বায়া পালপাড়া এলাকার

জৈনক নারী বাড়িতে যায়। এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের (সদর সার্কেলে) কর্মরত এসআই তৈহিদুল ইসলাম নিয়ম বহির্ভূতভাবে নগর গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক খাইরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। কারণ নিয়ম অনুযায়ী তিনি নগরের মধ্যে কোথাও অভিযান চালাতে পারবেন না। সেখানে যাওয়ার পর তারা তৌফিক হাসান ও জৈনক নারী কে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। এ সময় পুলিশের সাথে পুলিশের সোর্স আশিক সাথে ছিল তবে কোন নরী পুলিশ ছিল না। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় না নিয়ে এসে তাদের সাথে টাকার মাধ্যমে রফা দফা হয়।

এ সময় তৌফিক হাসানের কাছে পুলিশ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন পুলিশ পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম । এরমধ্যে নগদ ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও চেকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা পরিশোধের কথা হয়। পুলিশ তৌফিকের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাওয়ার পরে তৈফিক ও জৈনক নারী দিলে কে আটক না করে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।

শুধু এটাই নয় সে এলাকায় আরো বিভিন্ন অপকর্ম করে সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু জৈনক নারী নয় আরো অনেক নারীর সাথেই তার সখ্যতা রয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে জৈনক নারী বলেন, আমি পুলিশের চক্রান্তের শিকার। পাবা পৌরসভার অনেক কর্মকর্তরা অভিযোগ করে বলছেন, তৌফিক হাসান একজন খারাপ চরিত্রের মানুষ। এলাকায় নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। এদিকে, জেলা পুলিশের এসআই’র সাথে নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম অবৈধভাবে অভিযানে গিয়ে নারী ও পুরুষ আটক করে। আটকের পর টাকা দিয়ে ছাড় পাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে, খবর ২৪ ঘণ্টার পক্ষ থেকে নওহাটা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌফিক হাসানের অনুসন্ধানে গেলে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান।

সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি অস্বস্তিবোধ করেন ও ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। এরপর একটু আসছি বলে অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান। তারপর আর তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে নওহাটা পৌরসভার বিদ্যুৎ মিস্ত্রী শ্রী কমল কুমার ও অফিস সহকারী রিগান বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে তৌফিক সারের কাছে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা আসা যাওয়া করছেন। একপর্যায়ে মেয়র মহোদয়সহ আমরা সকলে ঘটনাটি জানতে পারি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনার কারণেই পুলিশ অফিসে আসা যাওয়া করছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তৌফিক কেমন অফিসার খবর ২৪ ঘণ্টার পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, তার রিপুটেশন খুব খারাপ। সব সময় তার রুমে সুন্দরী নারীদের আনাগোনা চলে। তিনি আরো বলেন, তৌফিকের নিজ উপজেলা গোদাগাড়ীর প্রেমতলি।

সেই সুবাদে তার সাথে অনেকের চেনাজানা রয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য রফিক নামের বিএনপি নেতা কাজ করছেন। তবে এমন লোক সরকারী প্রতিষ্ঠানে থাকুক ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হোক তা আমরা চাইনা। এ ব্যাপারে নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম খবর ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, বুঝে হোক না বুঝে হোক আমি এ কাজ অন্যায় করেছি বলে স্বীকার করেন তিনি। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও স্বীকারোক্তিমূলক অডিও ক্লিপ খবর ২৪ ঘণ্টার কাছে সংগৃহীত আছে।

অনুসন্ধানের জন্য জেলা পুলিশের সদর সার্কেলে গেলে এসআই তৌহিদুলকে পাওয়া যায়নি। পরে জানা গেছে, তিনি দুই সপ্তাহের ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। এসআই তৌহিদের ব্যাপারে বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত থাকাকালে এ ধরণের অনেক অপকর্ম এর সাথে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর ইফতে খায়ের আলম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা হবে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু আহম্মদ আল মামুন খবর ২৪ ঘণ্টার কাছে এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। খবর ২৪ ঘণ্টার পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-কমিশনার (সিটিএসবি) এ, এফ, এম আঞ্জুমান কালাম বিপিএম বার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্রঃ খবর ২৪ঘন্টা ।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৯ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply