শিরোনাম :
১০০ কোটি ডলার খরচ করে মহাকাশকেন্দ্র ধ্বংস করছে নাসা! নেপথ্যে কোন ‘বিশেষ’ পরিকল্পনা? চিনকে রুখতে প্রশান্ত মহাসাগরে ‘ক্ষেপণাস্ত্র প্রাচীর’ তৈরি করছে আমেরিকা, সঙ্গে থাকছে কোন কোন দেশ? পেশায় মডেল, কিন্তু মানুষ নয়, মাসে রোজগার ১০ লক্ষ টাকা, সুন্দরীকে ঘিরে বাড়ছে রহস্য পবিত্র মসজিদ-ই-নববীতে অর্ধকোটির বেশি মুসল্লি হাজার বছরে পবিত্র মসজিদুল আকসার সংস্কার কার্যক্রম সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৮১২৫ টাকা অস্ট্রেলিয়ার বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন পাকিস্তানের বিশ্বজয়ী ক্রিকেট দলের অন্যতম নায়ক ফেলের ভয়ে আত্মহত্যা, ফলাফলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ : ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৩ কোটি টাকা লোকসান ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি
হিন্দু মেয়েদের বোন বলে ভাবতে হবে

হিন্দু মেয়েদের বোন বলে ভাবতে হবে

হিন্দু মেয়েদের বোন বলে ভাবতে হবে
হিন্দু মেয়েদের বোন বলে ভাবতে হবে

অনলাইন ডেস্ক: লাভ জিহাদ’ শব্দটিকে রাজনৈতিক শক্তিবৃদ্ধির হাতিয়ার বানিয়েছে বিজেপি। এতে কান না দিয়ে হিন্দু মেয়েদের বোন হিসেবে ভাবতে শিখতে হবে মুসলিম যুবকদের। এমনই মন্তব্য সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এস টি হাসানের।

উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের এই সাংসদ জানিয়েছেন হিন্দুরা মুসলিমদের যেমন বিয়ে করতে পারে, তেমনি মুসলিমরাও হিন্দুদের বিয়ে করতে পারে। একে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে হিন্দু মহিলাদের বোন বলে ভাবতে হবে মুসলিম যুবকদের। তবেই শান্তি ফিরবে।

এস টি হাসান জানান, যেখানে এক মুসলিম ছেলেকে একটি হিন্দু মেয়ে বিয়ে করে, সেখানে কিন্তু হিন্দু মেয়েটি জানে যে সে কাকে বিয়ে করতে চলেছে। কিন্তু ঘটনাটিকে অন্যভাবে সাজানো হয়। সামাজিক চাপে পড়ে পরিবার মুসলিম ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলা করে বলে মত তাঁর।

এখানে মোরাদাবাদের ওই সাংসদের পরামর্শ হিন্দু মেয়েরা মুসলিম ছেলেদের বোন হিসেবে নিজেদের ভাবতে শিখুক। ভালবাসার প্রতারণায় যেন তাঁরা না পড়ে। নিজেদের রক্ষা করে রাখা শিখতে হবে। কারণ উত্তরপ্রদেশ সরকার এমন এক আইন এনেছে, যেখানে এই ধরণের ঘটনায় চরম শাস্তি পেতে হতে পারে।

এদিকে, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের ক্যাবিনেট লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া বিল পাশ করে। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং জানান জোর করে ধর্মান্তকরণ ও বিয়ে করার মত ঘটনা ঘটলে, বা বিয়ের জন্য ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটলে কড়া ব্যবস্থা নেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

রাজ্য সরকার জানিয়েছে এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হলে ৫ বছরের কারাদন্ড ও মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির এক থেকে পাঁচ বছরের জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে বলে বিলে জানানো হয়েছে।

নাবালিকা ও তফশিলি উপজাতি ভুক্তদের ক্ষেত্রে জোর করে ধর্মান্তকরণ হলে তিন থেকে ১০ বছরের জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে। লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার, এমন ইঙ্গিত মিলেছিল। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসার আগে প্রায় ১০০টি কেস খতিয়ে দেখে বিচার করা হয়েছে। তারপরেই চূডা়ন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৮ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply