রাজশাহীতে করোনার প্লান্ট আবিষ্কার করলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

রাজশাহীতে করোনার প্লান্ট আবিষ্কার করলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

রাজশাহীতে করোনার প্লান্ট আবিষ্কার করলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
রাজশাহীতে করোনার প্লান্ট আবিষ্কার করলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার : করোনার প্লান্ট আবিষ্কার করলেন ড.মো: এনায়েত আলী প্রামানিক নামে এক বৈজ্ঞানিক।

তিনি রাজশাহীতে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন। সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বি এ আর আয়,বরেন্দ্র কেন্দ্র, রাজশাহীতে কর্মরত। তিনি জানান, জেনাস করোনাভাইরাস করনাভিরিডি পরিবারের অন্তর্গত। ইহা একটি পজিটিভ স্ট্যান্ড (positive strand)RNA ভাইরাস যা সকল RNA ভাইরাস(২৭-৩২kb) এর ভাইরাল জেনমের মধ্যে সর্ববৃহৎ। প্রথম হিউম্যান করণা ভাইরাস পরিলক্ষিত হয় ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ের ৪০ বছর পর বিশ্বের ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রথম সারির রোগ SARS(Severe Acute Respiratory Syndrome) এর কজেটিভ এজেন্ট হিসেবে সনাক্ত করা হয় করোনাভাইরাস কে। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসিয়ায় SARS-Cov(করোনাভাইরাস)জনিত ফুসফুস রোগী পরিলক্ষিত হয় যার সূত্রপাত হয় ২০০২ সালের নভেম্বরে।SARS খুব দ্রুত ৪ মাসের মধ্যে ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়লে ৮ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং ৭৭৪ জন মৃত্যুবরণ করেন। তারপর ২০০৪ সালে সার্চ রোগে আক্রান্ত আর কাউকে পাওয়া যায়নি (WHO)।MERS(Middle East Respiratory Syndrome) যা করোনাভাইরাস তারা সংঘটিত হয়। সৌদি আরবে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম MEDS ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় ৮৬৬ জন মৃত্যুবরণ করেন (WHO)। আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ভাগ মানুষ ছিল সৌদি আরাবিয়ান,২জন USA পরে ২ জনই সুস্থ হয়ে ওঠে। জানুয়ারি ২০২০ সালের চীনের উহান প্রদেশে SARS Cov-2 নভেল করোনাভাইরাস সনাক্ত করা হয় এবং খুব দ্রুত মহামারী আকারে বিশ্বের প্রায় ২১৬ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লক্ষ ৪৪ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এবং প্রায় ৮ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৫ লক্ষ ১৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৭ হাজার ৬’শ জনের বেশি মানুষকে আমরা হারিয়েছি। করোনাভাইরাস এর মধ্যে রিকম্বিনেন্ট(Recombinant) প্রোটিন থাকার কারণে দ্রুত মিউটেশন ঘটছে,যার প্রেক্ষিতে এটার প্রতিষেধক আবিষ্কার খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই করোনাভাইরাস এর টিকা হাতে পাবো। আপনারা জানেন, করোনাভাইরাস এর মধ্যে S প্রোটিন ফুসফুসের কোষের এনজিওটেনসিং হিউম্যান কনভার্টিং এনজাইম ২ রিসেপ্টরের মাধ্যমে ডিফিউশন পদ্ধতিতে কোষে প্রবেশ করে। তারপর মেসেঞ্জার RNA(mRNA)এর ২টি Sub-unit ৬০S এবং ৮০S Sub-unit এর সাথে Complex তৈরি করে জেনোমিক ভাইরাল RNA সিনথেসিস শুরু করে।এ অবস্থায় আমারা যদি (Euphorbia neriifolia)ইউফরবিয়া নেরিফলিয়া পাতার রস খাওয়া শুরু করি তাহলে প্রত্যক্ষভাবে ভাইরাল প্রোটিন সিন্থেসিস এ বাধা প্রদান করে।Euphorbia neriifolia উদ্ভিদটি মূলত Euphorbiaceae পরিবারভুক্ত।

এই পরিবারে ৫টি Sub-Family, ৪৯ টি Tribes, ৩১৭টি Genera এবং ৮’শ টি Species রয়েছে। যার বেশির ভাগ অধিকাংশ উদ্ভিদই ভেষজ গুণসম্পন্ন। ইউফরবিয়া নেরিফলিয়ার পাতাতে ২২ ধরনের Triterpenoids এবং ১টি Flavonoid glycoside রয়েছে। এগুলোকে ১০টি Sub types এ ভাই করা হয়েছে।এর মধ্যে Friedelane এবং taraxeral এই ২টি Sub types এ ৭টি Triterpenoids রয়েছে, যা অ্যাক্টিভ এন্টি করোনাল প্রভাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে 3B-Friedelanol এর এন্টি করোনাল প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এছাড়াওTerpenoides গুলোর কাশি, নিউমোনিয়া, এজমা ও ব্রংকাইটিস এর ওপর ব্যাপক আকারে কাজ করে। উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলতে চাই, আমরা টিকা নেয়ার আগ পর্যন্ত এই গাছের পাতা ব্যবহার করে করোনার মরণ ছোবল থেকে খুব সহজেই বাঁচতে পারি। এই গাছের পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রোগের মাত্রা অনুযায়ী দৈনিক দুই থেকে তিনটি পাতা চিবিয়ে রস খেয়ে অবশিষ্টাংশ ফেলে দিতে হবে।

এভাবে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার করে ইউফরবিয়া নেরীফোলিয়ার পাতার রস খেতে হবে পুরোপুরি আরোগ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত। আশা করি এই পাতার রস খেয়ে আমরা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠব। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ১হাজার এর বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীকে এই পাতা খায়িয়েছি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ আছেন।

এছাড়াও এ পাতা আমরা চায়ের পানিতে দিয়ে খেতে পারি আমি প্রতিদিনই খাই এই পাতায় রয়েছে অনেক ভেষজ গুণাবলী। করণা আক্রান্ত সহ সর্দি, কাশি,এজমা, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে এই পাতার রস। প্রিয় পাঠক পরবর্তী সংখ্যায় চোখ রাখুন।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১০ জানুয়ারী ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply