মুড়ি তৈরির মেশিন বিক্রির নামে প্রতারণা, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড

মুড়ি তৈরির মেশিন বিক্রির নামে প্রতারণা, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড

মুড়ি তৈরির মেশিন বিক্রির নামে প্রতারণা, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড
মুড়ি তৈরির মেশিন বিক্রির নামে প্রতারণা, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর এলাকায় মুড়ি তৈরির মেশিন বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে হাফিজুর রহমান নামে এক মেকানিককে অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড প্রদান করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

প্রতারক হাফিজুর রহমান

র‌্যাব জানায়, হাফিজুর রহমান দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুড়ি তৈরির যন্ত্র তৈরি করে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল HS TV এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে আসছিলেন।
মূলত এই যন্ত্রের জন্য তিনি কোনো সরকারি অনুমোদন নেননি। মুড়ি তৈরির এই মেশিনে মূলত অধিক পরিমাণ বিষাক্ত হাইড্রোজ,ইউরিয়া সার ও লবন মিশ্রিত করে চাল দিলে মুড়ি তৈরি হয় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যধিক ক্ষতিকর।
বিক্রির সময় বলা হয় প্রতি ঘন্টায় ১০০ কেজি চালের মুড়ি হবে কিন্তু বাস্তবে ২০ কেজি চালেরও মুড়ি হয় না। যে প্রক্রিয়াতে তার মেশিন দিয়ে মুড়ি তৈরি করা হয় তাতে মেশিন ক্রেতারা ব্যবসায়িক ভাবে লসে পরে যান। এভাবেই মেশিন বিক্রির নামে চলছিল প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপকর্ম।
পরবর্তীতে মেশিন ক্রেতারা মেশিন ফেরত দিতে আসলে শুরু হয় প্রতারণার দ্বিতীয় ধাপ। মেশিন রেখে দিয়ে ক্রেতাদের টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। এক সময় হতাশ হয়ে টাকার আশা ছেড়ে দেন ক্রেতা। এভাবে প্রতিটি মেশিনের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হতো ১.৫ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। দিনের পর দিন এভাবেই মানুষকে প্রতারিত করে আসছিলো হাফিজুর।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১) র্যাব-১২ এর অপারেশন টিম হাজির সেখানে। হাফিজুরকে মুখোমুখি করা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মঈন উদ্দিনের আদালতে। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ শেষে বিজ্ঞ আদালত হাফিজুরসহ দুই প্রতারককে দুই লক্ষ টাকা করে *মোট ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা* জরিমানার আদেশ দেন। একইসাথে হাফিজুরকে ১৫ দিন কারাবাসের আদেশও দেন বিজ্ঞ আদালত।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১২  ফেব্রয়ারি ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply