স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. মঈন উদ্দিন আজাদের ধর্ষনের শিকার সেই যুবতীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই যুবতী (২৫) চিরকুট লিখে ঘুমের ট্যাবলেট ও হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেস্টা করে। পরে তাকে স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগীতায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ৩টায় তাকে ছুটি দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এর আগে গত (২০ মার্চ ) দিবাগত রাত ১১টায় ২৫টি ঘুমের ট্যাবলেট ও হারপিক পান করেন ওই যুবতী।
ধর্ষিতা যুবতী জানায়, নগরীর পঞ্চবটি এলাকার আইনের শিক্ষক পরিচয় দানকারী আরমান নামের এক ব্যক্তি মিমাংসার জন্য তাদের ডেকে পাঠায়। পরে তার বাড়িতে গেলে তিনি জোর পূর্বক একটি সাদা কাগজে সহি করিয়ে নেয়।
এ সময় তিনি বলেন, রাস্তায় তোমাকে অজ্ঞাত পরিচয়ের কেউ চাকু মারতে পারে, মুখে এসিড ছুড়তে পারে। এছাড়াও মামলা তুলে নিতে তিনি বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি প্রদর্শণ করেন। এছাড়াও চরিত্রহিন বানাতে যত খারাপ বলা দরকার তা তিনি বলতেও ছাড়েননি যুবতীকে।
ধর্ষিতা যুবতী আরও জানায়, রেলওয়ে শ্রমিক নেতা মো. মনোয়ার হোসেন মনু মিয়া তাকে বলেন, টাকা দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট ও পুলিশ ম্যানেজ করবো। পরে তোকে দেখে নেবো। এ বিষয়ে মনোয়ার হোসের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান ভুক্তভোগী যুবতী।
এ ব্যাপারে জানতে আরমানের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে শ্রমিক নেতা মো. মনোয়ার হোসেন মনু মিয়া বলেন, ধর্ষিতা যুবতীকে আমি চিনি না। আমার বিরুদ্ধে তার সকল অভিযোগ মিথ্যা।
পরে তিনি ফোন ব্যাক করে দৈনিক বার্তার সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানীকে দেখে নেয়ার ও মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করেন মনু মিয়া।
মতিহার বার্তা / জি আর
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.