রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে নিয়ে স্ত্রী ও দুই প্রেমিকার রশি টানাটানি

রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে নিয়ে স্ত্রী ও দুই প্রেমিকার রশি টানাটানি

রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে নিয়ে স্ত্রী ও দুই প্রেমিকার রশি টানাটানি
রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে নিয়ে স্ত্রী ও দুই প্রেমিকার রশি টানাটানি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে নিয়ে স্ত্রী ও প্রেমিকার রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি নগরীর শিরোইল কলোনীর খাদ্য গোডাউন সংলগ্ন এলাকার। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে নানা হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেউ কেউ আবার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্তও গড়িয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার তারেক রহমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তি বৈধ ব্যবসার আড়ালে নানা প্রতারণামূলক কর্মকা- ও মাদক কারবারের সাথে সম্পৃক্ত।

এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রভোলন দিয়ে বিভিন্ন মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগও অহরহ। এলাকাবাসী বলছেন, তারেকের বিবাহিত এক স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তা সত্বেও তিনি বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যক্তা দুই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।

যা এখন খাদের কিনারায় গিয়ে পৌঁছেছে। ওই দুই নারীর একজনের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আরেকজন নারীর রয়েছে ছেলে সন্তান। তারা তারেককে ছাড়া বিকল্প কিছুই ভাবতে পারছেন না। এ নিয়ে চরম বিবাদের জেরে গত মঙ্গলবার প্রেমিকা দুই নারীই আতœহত্যার চেষ্টা চালান। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের দুইজনকেই রামেক হাসপাতালের ১৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকি’সা শেষে বুধবার তারা বাসায় ফেরেন।

এদিকে, হাসপাতালে একসাথে চিকি’সাধীন থাকাকালে দুই প্রেমিকার একজন সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমি তারেককে আমার কাছে ফিরে পেতে চাই। আমি কিছুতেই তারেককে ছাড়তে পারবো না। এসময় ওই নারী তার পাশে চিকি’সাধীন তারেকের আরেক প্রেমিকাকে বলেন, তুমি তারেককে ছেড়ে চলে যাও। বল এজন্য আমি তোমাকে কী ধরণের সহযোগিতা করতে পারি। তুমি যা চাইবে আমি তাই করবো। তাও তারেকের কাছ থেকে তুমি দূরে চলে যাও।

এই দুই প্রেমিকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় তারেকের আরো কয়েকজন প্রেমিকা রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, তারেকের বিবাহিত স্ত্রী স্বামীর দুই প্রেমিকাকে মেনে নিতে চাইছেন না। আবার দুই প্রেমিকার কেউই তারেককে ছাড়তে চান না। আর তারেক তার স্ত্রী ও দুই প্রেমিকাকে নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে একে একে তাদের সকলের কাছেই ধরা খেয়েছেন। ফলে স্ত্রী ও দুই প্রেমিকা এখন তারেকের একই বাসায় অবস্থান করছে।
এদিকে তারেকের দাবি, আমি দুই প্রেমিকার একজনকে সম্প্রতি বিয়ে করেছি। কিন্তু আরেকজনকে বিয়ে করিনি।
তবে তিনি আদৌ তার এক প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন কিনা বা তার এ দাবির সত্যতা কতটুকু তা কোনো সূত্র থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দুই প্রেমিকার একজনের দাবি, জমি বিক্রি করে প্রেমিক তারেককে ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রেমিককে ভালোবেসে বিভিন্ন সময়ে আরো টাকা ও আসবাবপত্র কিনে দিয়েছেন। আর এই টাকা দিয়ে তারেক আরেক প্রেমিকাকে নিয়ে আলাদা জায়গায় বসবাস করে আসছে বলে অভিযোগ তার। এ নিয়ে থানায় মামলাও রয়েছে। এই মামলায় সম্প্রতি তারেক কারাগারেও যান। পরে এই প্রেমিকাই তাকে কারাগার থেকে বের করতে সহযোগিতা করেন।

পুলিশ জানায়, তারেকের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় মাদকের একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া নগরীর চন্দ্রিমা থানায় রয়েছে প্রতারণার মামলা। প্রতারণার মামলাটি করেছেন দুই প্রেমিকার একজন।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply