গোদাগাড়ীতে হাইব্রিড পেঁয়াজ নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

গোদাগাড়ীতে হাইব্রিড পেঁয়াজ নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

গোদাগাড়ীতে হাইব্রিড পেঁয়াজ নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
গোদাগাড়ীতে হাইব্রিড পেঁয়াজ নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ইউনাইটেড সীড, ঢাকার আয়োজনে দুইটি হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন সম্পর্কে অবহিত করার জন্য এবং আগামী মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার (০৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার পালপুরে ইউনাইটেড সীডের হাইব্রিড পেঁয়াজ রঙ্গীলা-৭ এবং ক্রস এস-৮০ জাত নিয়ে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোদাগাড়ীর উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড সীডের কান্ট্রি ম্যানেজার জনাব মোঃ আমজাদ হোসেন, দেওপাড়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার। এছাড়া ইউনাইটেড সীডের গোদাগাড়ী উপজেলার পরিবেশক সুমীর উদ্দিনসহ স্থানীয় ডিলার, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কৃষকবৃন্দ উপস্থিত
ছিলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে একাধিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কৃষকের পাশে থেকে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য ভালো বীজের প্রয়োজন। বীজ ভালো হলে কৃষকের মাঠে সহজেই অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করা যায়। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে কৃষকের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ভালো ও গুণগত মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহকারী যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে কৃষকের স্বার্থে স্বাগতম জানাই।

ইউনাইটেড সীডের কান্ট্রি ম্যানেজার আমজাদ হোসেন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দেশীয় মসলার ঘাটতি পূরণে ইউনাইটেড সীডের এই দুইটি জাত অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। হাইব্রিড রঙ্গীলা-৭ জাতের পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি ১৫০-১৭০ মণ ফলন পাওয়া যায়। তবে এ জাতের পেঁয়াজের সংরক্ষণকাল অন্যান্য পেঁয়াজের চেয়ে একটু কম। একজন কৃষক এই পেঁয়াজ স্বাভাবিকভাবে ৪-৫ মাস ঘরে সংরক্ষণ করতে পারবেন। তবে ফলনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এই পেঁয়াজের চাষ অত্যন্ত লাভজনক। ক্রস এস-৮০ জাতের পেঁয়াজ আকৃতিতে দেশীয় তাহেরপুরি জাতের মতো এবং ঝাঁঝালো স্বাদের। এস-৮০ জাতের পেঁয়াজের মাঠ পর্যায়ে ফলন প্রতি বিঘায় ১০০-১২০ মণ এবং সংরক্ষণকাল প্রায় এক বছর।

পেঁয়াজ চাষী হাসানুজ্জামান হিমেল জানান, হাইব্রিড পেঁয়াজ চাষ করলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবেনা এটা ভাবলে ভুল হবে। ক্রস-৮০ জাতটি দেশি পেঁয়াজের মতো ঝাঁঝালো। ফলে বাজারে ভালো চাহিদা থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

মাঠ দিবসের সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান বলেন, আমাদের দেশে মসলা উৎপাদনে এখনও কিছু ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে এবং মাঠ পর্যায়ে আমরা সেই কৌশল বাস্তবায়নে কাজ করছি।

সামগ্রিকভাবে কৃষির উন্নয়নে আমরা যে কোনো ভালো কাজে সবসময় পাশে আছি। কৃষকের স্বার্থে এবং দেশের উন্নয়নে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। ইউনাইটেড সীড যে প্রযুক্তি নিয়ে কৃষকের কাছে এসেছে তা দেখার জন্য আমরা উপস্থিত হয়েছি। ফলাফল ভালো হলে বরেন্দ্র এলাকার কৃষির জন্য তা অবশ্যই
আনন্দের সংবাদ হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply