রাজশাহীতে শিলাবৃষ্টি ধুলিঝড়ের পরও দেখা নেই বৃষ্টির, ঝরছে আমের কড়ালি

রাজশাহীতে শিলাবৃষ্টি ধুলিঝড়ের পরও দেখা নেই বৃষ্টির, ঝরছে আমের কড়ালি

রাজশাহীতে শিলাবৃষ্টি ধুলিঝড়ের পরও দেখা নেই বৃষ্টির, ঝরছে আমের কড়ালি
রাজশাহীতে শিলাবৃষ্টি ধুলিঝড়ের পরও দেখা নেই বৃষ্টির, ঝরছে আমের কড়ালি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে শিলাবৃষ্টি ধুলিঝড়ের পরও বৃষ্টির দেখা নেই। এবার ঝরতে শুরু করেছে আমের কড়ালি। কয়দিন আগেও কড়ালির ভারে নুইয়ে পড়ছিল গাছের ডাল। সর্বশেষ গত রোববার বিকালের ঝুলিঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে হয়েছে আমের সর্বনাশ।

শিলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এই আমে কীটপতঙ্গ ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য শিলাবৃষ্টির পরদিন সকাল থেকেই আম চাষিরা নেমে পড়েছেন পরিচর্যায়।

এর আগে অনাবৃষ্টির মধ্য দিয়েই বড় হচ্ছিল কড়ালিগুলো, তখন নেমে এলো ঝড় আর শিলাবৃষ্টি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজশাহীর আমচাষিদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। আম চাষিরা বলছেন, প্রথম দিকে যে লাভের আশা করেছিলেন তারা, এখন তার অর্ধেক ভাবতে হচ্ছে।

গাছে গাছে আমের কড়ালি ঝরার কারনে এখনই পরিচর্যার ইতি টানছেন না চাষিরা। কড়ালি টিকিয়ে রাখতে গাছের ওপরে এখনও স্প্রে করা হচ্ছে ছত্রাকনাশক। গাছের গোড়ার চারপাশে গর্ত করে সকালে-বিকালে দেয়া হচ্ছে পানি। বাগানে বাগানে চাষিদের এমন ব্যস্ততায় এখন চোখে পড়ছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, ধুলিঝড় আর শিলাবৃষ্টি পর এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। গাছের গোড়ার মাটি শুষ্ক থাকলে কড়ালি ঝরে পড়ে। তাই নিয়মিত সেচ দিচ্ছেন। শহিদুল বলেন, গত বছর ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে প্রচুর আম ঝরে পড়েছিল। তা না হলে গতবারও খুব ভাল লাভ হতো। এবার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাড়তি পরিচর্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টির দেখা নেই। এতে ঝরে পড়তে শুরু করেছে কড়ালি।

রাজশাহীর পথঘাট, আমবাগানগুলোর রূপও কয়েকদিনে বদলে গেছে অনেকটা। গাছে গাছে আমের গুটির দেখা মিললেও এখনই পরিচর্যার ইতি টানছেন না চাষিরা। কড়ালি টিকিয়ে রাখতে গাছের ওপরে এখনও স্প্রে করা হচ্ছে ছত্রাকনাশক। গাছের গোড়ার চারপাশে গর্ত করে সকালে-বিকালে দেয়া হচ্ছে পানি। বাগানে বাগানে চাষিদের এমন ব্যস্ততায় এখন চোখে পড়ছে।

এবার পরিচর্যায় একটু বাড়তি ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে চাষিদের। তাদের সঙ্গে কথা বলে এর কারণও জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। গাছের গোড়ার মাটি শুষ্ক থাকলে কড়ালি ঝরে পড়ে। তাই নিয়মিত সেচ দিচ্ছেন।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, আমরা চাষিদের গুটি ধরার পর ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করতে বলি। আর রাজশাহীর চাষিরা এ ব্যাপারে অনেক সচেতন।

এখন গুটি আসার পর আমের কড়ালিতে তারা পরিচর্যায় কোন ঘাটতি রাখছেন না। আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট পর্যন্ত ঘুরেছি, বাগানের অবস্থা খুব ভাল। গাছগুলোতে প্রচুর গুটি আছে। খরার কারণে কিছু কড়ালি ঝরবে। এজন্য সকালে আমগাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। তাছাড়া প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে আমে স্প্রে করতে হবে। এতে কড়ালি ঝরা কমবে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) উম্মে ছালমা জানান, রাজশাহীতে এবার ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন। গাছে গাছে এবার কড়ালির অবস্থাও এখন পর্যন্ত ভাল। তারা আশা করছেন, আমের বাম্পার ফলন হবে।

কিন্তু মুকুল আসার আগে থেকে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টির দেখা নেই। এতে ঝরে পড়তে শুরু করেছে কড়ালি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply