স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানী চাঁদাবাজির মামলায় সুইট (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধিন ধরমপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে এসআই সাহাবুল ও সঙ্গীয় ফোর্স। গ্রেফতারকৃত সুইট ওই এলাকার জালালের ছেলে। তিনি এই মামলার এজাহারভূক্ত ৬নং আসামী।
এর আগে গত রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে মোহনপুর থেকে প্রেমিকা নিয়ে রাজশাহীতে বন্ধুর রুমে বেড়াতে আসে পুলিশ সদস্য মো. খাইরুল ইসলাম। এরপর স্থানীয়রা রুমে ঢুকে তাদের দুজনকে মারপিট করে ও বিকাশে টাকা নেয়। পরে বন্ধুকে বাঁচতে যায় নগরীর মতিহার থানার পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান। এ সময় তিনি টাকা কেনে দিতে হবে বলে প্রতিবাদ করলে তাকেও মারপিট করে স্থানীয়রা। পরে মতিহার থানার এসআই সেলিম ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে। এরপর স্থানীয়রা বাড়ির মালিক তানজিলা তার স্বামী কালাম ও তার দুই ছেলেকে মারপিট করে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) বাড়ির মালিকের ছেলে মো. জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মতিহার থানার মামলা নং-৮, তাং-১২-০৪-২০২১। মামলায় ৬জনকে এজাহারভূক্ত এবং ৬নং অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়।
উল্লেখ্য, মারপিট শ্লীলতাহানী শিকার যুবতী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ সদস্য খাইরুল ইসলাম তার বয়ফেন্ড। একই কথা বলেন পলিশ সদস্য খাইরুল ইসলাম। তবে মামলায় তাদের স্বামী-স্ত্রী উল্লেখ করা হয়েছে। ওই দুই পুলিশ সদস্য ও খাইরুলের প্রেমিক সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বলেন, ৫০ হাজার টাকার চাঁদার দাবিতে তাদেরকে ব্যাপক মারপিট করা হয়েছে। বিকাশ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে ৭হাজার টাকা এবং নগদ ৪ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রেমিকা (২৫)কে চড়-থাপ্পড় ও শ্লীলতাহানী ঘটনা ঘটিয়েছে হামলাকারীরা। তবে পুলিশ বাদি হয়ে কোন মামলা দায়ের করেননি!
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আরএমপি পুলিশের মূখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে পরে জানাবো।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.