সর্বত্রই মানুষের স্রোত, রাজশাহীতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

সর্বত্রই মানুষের স্রোত, রাজশাহীতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

সর্বত্রই মানুষের স্রোত, রাজশাহীতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই
সর্বত্রই মানুষের স্রোত, রাজশাহীতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

স্টাফ রিপোর্টার : শপিংমল-দোকান খুলে দেওয়ার পর সর্বত্র মানুষের ভিড় বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। নিয়ম না মেনে জনসমাগম করায় আগামী দিনে রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কে যান চলাচল কম হলেও পাড়া-মহল্লায় অবাধে চলছে যানবাহন। বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় ঘোরাঘুরিসহ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করছেন এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই দোকানে বসে দিচ্ছে আড্ডা। সংক্রমণ রোধের সতর্কতা নেই বললেই চলে। ক্রেতাদের চাপে মহানগরীর সাহেব বাজার এলাকায় যানজটও তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রশাসনের কার্যক্রমও কম দেখা গেছে। মার্কেটের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে দোকান মালিক সমিতির নেতাদেরও তেমন কোনো তৎপরতা নেই।

রাজশাহীতে লকডাউনের দুই সপ্তাহ পরে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। মহানগরীর কাপড়ের দোকান, পাইকারি ও কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানছেন না শারীরিক দূরত্ব।

নির্দেশনা উপেক্ষা করে কারণে-অকারণে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব ছাড়ায় ভিড় করছেন রাস্তায়। অহেতুক আড্ডা ও ঘোরাফেরা করছে মানুষ।

চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বেশকিছু শর্তে দোকান মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও পরে তা বিশেষ বিবেচনায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে দোকানপাট-শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে।

পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মহানগরীর আরডিএ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ফায়সাল হোসেন বলেন, মানুষ চলাফেরায় মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না। শপিংমলে ঠেলাঠেলি করে মানুষ কেনাকাটা করছে। লকডাউন কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নেই।

জানতে চাইলে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, মার্কেটের অবকাঠামোগত কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হয় না। তবে ব্যবসায়ীরা সচেষ্ট আছেন। কারণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবার হয়তো দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। উদাসীনতার কারণে কিছু ব্যবসায়ী হয়তো সবসময় মাস্ক পরছেন না। আমরা বিষয়গুলো তদারকি করছি।

রাজশাহী পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আমরা সরকারি সরকারি নিয়ম-নীতি অনুযায়ী কাজ করছি। শপিংমল ও কাঁচাবাজারে মাইকিং করা হচ্ছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply