রাজশাহীতে অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

রাজশাহীতে অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

রাজশাহীতে অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২
রাজশাহীতে অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।

বুধবার (২৮ এপ্রিল)সকাল সাড়ে ১০টায় রিমান্ডপ্রাপ্ত পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামী মোঃ সাগর (২৫)কে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে উত্তর বালিয়া গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে মোঃ তারেক (২১)কে গ্রেফতার করে।

আসামীদ্বয়ের দেওয়া তথ্যমতে আসামী তারেকের বসত বাড়ির খড়ি ঘড়ের মাটিতে পুতে রাখা চুরি যাওয়া ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার ০৮ টি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন এসআই মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও তার টিম।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফ্রেবুয়ারি রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার বড় পুকুরিয়া এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাটারিবিহীন একটি অটোরিক্সা পাওয়া যায়। পরে জানা যায় উক্ত অটোরিক্সার মালিক গুড়িপাড়া গ্রামের মোসাঃ খদিজা বেগম এবং চালক কাশিয়াডাঙ্গা থানার বসরী গ্রামের মোঃ চাঁন মিয়ার ছেলে শমসের।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মোঃ চাঁন মিয়া থানায় অভিযোগ করেন যে, ২৪ ফ্রেবুয়ারি রাত ৯টায় মোঃ সাগর (২৫), মোঃ সাগর (২২), মোঃ সোহেল (২৩), আব্দুর রাজ্জাক (৪২) মিলে তার ছেলের অটোরিক্সা ভাড়া করে গেলেও আর ফিরে আসেনি। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু হয়।

এসআই মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও তার টিম অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার আসামী মোঃ সাগর (২৫), মোঃ সাগর (২২), মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৪২)দের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণসহ রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যাদি তদন্তকারী অফিসার যাচাই-বাছাই করেন ও আসামীদের দেওয়া তথ্যাদির সত্যতা যাচাইয়ে শহরের বিভিন্ন মোড়ের ভিডিও ফুটেজ পরিদর্শন করেন। সেই সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম উদ্ধার ও চুরি হওয়া অটোরিক্সার ব্যাটারী উদ্ধারেও চেষ্টা করেন।

গত ১ মার্চ রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার কাঁকনহাট রোড সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার হাউজের ডোবার কোচুরী পানার ভিতর হতে অটো চালক শমসেরের লাশ উদ্ধর হয়ে অপহরণ মামলা হত্যা মামলায় রুপ নেয়।

হত্যা মামলার বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক হত্যার রহস্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিস্পত্তির জন্য কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

মোঃ মনিরুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা বিভাগ) সার্বিক তত্বাবধানে সহকারি পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা বিভাগ) মীর মুহসীন মাসুদ রানার নেতেৃত্বে অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজের প্রত্যক্ষ তদারকিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও তার টিম মামলা তদন্তকালে ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে পারিপার্শিক অনুসন্ধানে জানতে পারে মোঃ রাশেল এই হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত আছে এবং তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। কিন্তু রাশেল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে গত ১০ এপ্রিল রাত্রী সোয়া ৩টায় মোঃ রাশেল (২১)কে তার পূর্ব রায়পাড়ার নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার করেন এবং সেই সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু ও অটোরিক্সা খোলার সরঞ্জামাদী উদ্ধার করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply