রাজশাহীর সীমান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, লকডাউন কড়াকড়ি করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান

রাজশাহীর সীমান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, লকডাউন কড়াকড়ি করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান

রাজশাহীর সীমান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, লকডাউন কড়াকড়ি করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান
রাজশাহীর সীমান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, লকডাউন কড়াকড়ি করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী অঞ্চলের সীমান্ত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগী আবার বাড়ছে। এই হাসপাতালের মোট করোনা রোগীর অর্ধেকই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অর্ধেক রোগীই ভারতীয় সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার। তাদের কেউ সম্প্রতি ভারত থেকে এসেছেন কি না, করোনার ভারতীয় ধরন বহন করছেন কি না, তা নির্ণয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। এ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাঁপাইনবগঞ্জে চলমান লকডাউন কড়াকড়িভাবে পালন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৭ মে এই হাসপাতালে করোনা রোগীর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৫৭ জন। ঈদের ঠিক আগে ও পরে আবার রোগী বাড়তে শুরু করে। ঈদের আগে ১২ মে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ৭৭ জন। ঈদের পর থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ রোগী ভর্তি হন। ১৭ মে ৩৯ রোগী ভর্তি হন।

এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোগী সবচেয়ে বেশি আসছেন। ১৮ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনকে পজিটিভ পাওয়া যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যে ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা শিবগঞ্জের রোগী সবচেয়ে বেশি। এ উপজেলার ৩১ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ পরিসংখ্যান হাসপাতালের চিকিৎসকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই রোগীদের অনেকেই ভারত থেকে এসেছেন। কিন্তু কেউই তা স্বীকার করছেন না। এ জন্য ঢাকায় তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ পরীক্ষায় দেখা হবে, তাঁদের মধ্যে কেউ করোনার ভারতীয় ধরন বহন করছেন কি না।

চিকিৎসকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি ছোট জেলা। এ জেলা থেকেই বেশি রোগী আসছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইানবাবগঞ্জে এ পর্যন্ত ২০ করোনা রোগী আছেন। তার মধ্যে ১৮ জন সদর হাসপাতালে, ১ জন নাচোল ও ১ জন গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

তিনি বলেন, ঈদের পরই রোগী বেড়েছে। তার মধ্যে ঢাকা থেকে আসা এবং তাঁদের সংস্পর্শে যাওয়া রোগীই বেশি। শুধু একজন রোগী পাওয়া গেছে, যিনি ভারত থেকে এসেছেন। তিনি ভারতে চিকিৎসা শেষে ১৮ এপ্রিল বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। ২৪ এপ্রিল পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। সিভিল সার্জন আরও বলেন, বৃহ্স্পতিবার ভারত থেকে ২৪ বাংলাদেশি দেশে ঢুকেছেন। তাঁদের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৩ জনকে সদর হাসপাতালে ও ৭ জনকে একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছু সিদ্ধান্ত হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা রোগী নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না যে রোগীদের কেউ গোপনে সীমান্তপথে ভারত থেকে এসেছেন কি না। এ জন্য জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply