গোদাগাড়ীতে হত্যা চেষ্টা মামলা মিমাংসা করতে মরিয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা

গোদাগাড়ীতে হত্যা চেষ্টা মামলা মিমাংসা করতে মরিয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা

গোদাগাড়ীতে হত্যা চেষ্টা মামলা মিমাংসা করতে মরিয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
গোদাগাড়ীতে হত্যা চেষ্টা মামলা মিমাংসা করতে মরিয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে একটি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীদের বাচাতে বাদিকে মিমাংসার চাপ দিচ্ছেন এসআই মাহমুদুর হাসান। মাহমুদুল হাসান কাকোন হাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এবং ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।

এর আগে বিবাদীর পক্ষ নিয়ে একটি মিথ্যা মামলাও করিয়েছেন তিনি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে বাদি বিবাদীর মামলা তিনি নিজেই তদন্তের দায়ীত্ব নিয়েছেন।

গোদাগাড়ী রিশিকুল ইউনিয়নের ওমর ফারুকের কেবল নেটওয়ার্কিং (ডিস) এর ব্যবসা দখলে নিতে বামলাইল গ্রামের জয়নুদ্দিন জনিকে হাত করে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি। এর পরে শুরু হয় তাদের তাণ্ডব। এ পর্যন্ত ওমর ফারুকের অপটিকেল ফাইবার, নুড, হাইব্রিড এ্যম, আরডি সিক্স তার কেটে নিয়ে যায় তারা। প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে আনোয়ারের লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় গত (৩১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে কালিদাসপুর এলাকার একটি বিলে ওমর ফারুক তার শ্যালক দেলওয়ার হোসেনকে ব্যাপক মারধর করে আনোয়ার হোসের লোকজন।

তাদের হামলায় গুরতর আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েন দেলওয়ার হোসেন। রামেকের ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিতসা শেষে বাড়ী ফিরেন তিনি। পরে ওমর ফারুককে কাউন্টার দিতে জয়নুদ্দিন জনি (৩ জুন) বাদি হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় ওমর ফারুকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে ওমর ফারুকের ভাতিজা সজল ঘটনার দিন ছিলেন ঢাকায়। তিনি যে কম্পানিতে চাকুরী করেন সেই কম্পানী তাকে একটি প্রত্যায়ন প্রদান করেছেন। জনির মামলায় যাদের ভিক্টিম দেখানো হয়েছে আসলে তাদের শরিরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানিয়েছেন প্রেমতলি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরী বিভাগের দায়ীত্বরত কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী ওমর ফারুক বলেন, ঘটনার দিন আমি এবং আমার শ্যালক দেলওয়ার দুইজন মিলে কাজ করছিলাম। আনোয়ারের লোকজন ছিলো ১০ থেকে ১৫ জন তাদের কিভাবে সম্ভব প্রতিহত করা! তাদের গায়ে হাত তুলাত দুরের কথা, আমাদের কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি তারা।

তার পরেও আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা নেয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের দুই মামলার তদন্ত করছেন কাকোন হাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান। তিনি আমাকে বলেন, যেহেতু উভয় পক্ষের মামলা হয়েছে। বিয়য়টি মিমাংসা করে নেয়ায় ভালো হবে। তিনি আরও বলেন, এজাহার নামীয় পলাতক আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করছেনা পুলিশ। আদালত ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এলাকায় দাম্ভিকতার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা।

এ ঘটনায় ডিস ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বাদি হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে গত ৪ জুন গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলো- গোদাগাড়ী থানা এলাকার মো. আনোয়ার হোসেন (৫০), জয়নুদ্দিন (৩৫), পলাশ (২৭), রাজু (২১), রাকিবুল ইসলাম রাকিব (৩০), ফারুক শেখ (৩৮) ও কামাল হোসেন (৪০)।

এলাকাবাসী জানায়, চব্বিশনগর এলাকার ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ ১০ বছর থেকে কেবল নেটওয়ার্কিং (ডিস) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আমরা তার লাইন ব্যবহার করে আসছি। হঠাত আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি জোর করে তার ব্যবসা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এতে সহযোগীতা করছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীরা।

ভুক্তভোগী ওমর ফারুক জানান, আমি সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একজন বৈধ ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ১০ বছর থেকে রিশিকুল ইউনিয়নে ডিস লাইনের ব্যবসা করে আসছি। গত বছরের মার্চ মাস থেকে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি জোর করে আমার ব্যবসা দখলে নিতে স্থানীয় জনিকে হাত করে এবং আমার ব্যবসার বাধা সৃষ্টি করছে।

আমার এযাবত ২৫ লাখ টাকার অপটিকেল ফাইবার, নুড, হাইব্রিড, এ্যাম্পসহ আরবি তার কেটে নিয়ে যায় তারা। গত ৩১ মে দুপুরে আমরা লাইনের কাজ করছিলাম। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দোশ্যে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাকোন হাট ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। তবে তাদের উভয় পক্ষ আসামসীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে ওমর ফারুক, জয়নুদ্দিন জনির মামলায় জামিন নিয়েছেন সে বিষয় তার জানা নেই। তবে মিমাংসার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply