বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষন করার অভিযোগে তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে নিজ-নিজ বাড়ী থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। তবে ঘটনার মূল নায়ক আলামিন পলাতক থাকায় তাকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় ঐ স্কুল ছাত্রীকে মোবাইল করে ডেকে আনে তার প্রেমিক আলামিন (২৭)। তার বাড়ি উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায়।তার পিতার নাম মানিক হোসেন বলে জানা গেছে।
স্কুল ছাত্রী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারক আলামিন তার সাথে এর আগে ও শারিরীক মেলা-মেশা করেছে। সর্বশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় সে ঐ ছাত্রীকে মোবাইল করে উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রাম থেকে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ডেকে আনে। এরপর সুমন একটু পরে আসছি বলে তার তিন বন্ধুর কাছে প্রেমিকাকে রেখে চলে যাই।
এদিকে সুমন ঘটনা স্থল থেকে চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। অত:পর বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনে রাতভর ঐ ছাত্রীকে গণধর্ষন করে ধৃত আসামী (১) তারেক (২৫) পিতা এমদাদ আলী, গ্রাম উত্তর মিলিক বাঘা,(২) আরিফ হোসেন ওরুপে নাসির উদ্দিন(২৩)পিতা সাদেক আলী, গ্রাম মিলিক বাঘা এবং সবুজ আলী (২১) পিতা নহসেন আলী, গ্রাম বাজুবাঘা নতুন পাড়া।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর দিন রবিবার রাতে ঐ ছাত্রী তার বাবা-মাকে সাথে করে বাঘা থানায় এসে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হন। অপর একজন পলাতক রয়েছে। ধৃত আসামীদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.