আরও একটি কোভিড ওয়ার্ড বাড়ছে রামেক হাসপাতালে

আরও একটি কোভিড ওয়ার্ড বাড়ছে রামেক হাসপাতালে

আরও একটি কোভিড ওয়ার্ড বাড়ছে রামেক হাসপাতালে
আরও একটি কোভিড ওয়ার্ড বাড়ছে রামেক হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় আরও একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করার কাজ চলছে। করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালের ১৭ নং ওয়ার্ডটিতে এখন অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের কাজ চলছে।

গতকাল শনিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

তিনি জানান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৬টি শয্যা আছে। সেখানে বারান্দায় বাড়তি আরও ১২টি শয্যার ব্যবস্থা করা যাবে। ফলে সেখানে মোট ৪৮ জনের চিকিৎসা সম্ভব হবে। ওয়ার্ডটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের কাজ শেষ হলে দু’এক দিনের মধ্যেই সেখানে করোনা রোগীদের রাখা হবে।

কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে এখন একের পর এক সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। এখন হাসপাতালের ১, ৩, ১৫, ১৬, ২২, ২৫, ২৭, ২৯-৩০ এবং ৩৯-৪০ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা রোগী রাখা হয়। এছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ২০টি ও কেবিনে ১৫টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যা আছে। সবমিলিয়ে মোট শয্যার সংখ্যা ৩০৯টি। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি যুক্ত হলে মোট শয্যা হবে ৩৫৭টি।

তবে গতকাল শনিবার সকালেই হাসপাতালে ৩৬৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।

হাসপাতাল পরিচালক আরও জানান, যেসব রোগী শয্যায় আছেন, কেবল তাঁরাই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের সুবিধা পান। মেঝে কিংবা বারান্দায় থাকা রোগীদের সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের মাধ্যমে অক্সিজেন দেয়া হয়। হাসপাতালে ১৮৩টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং ৭২৫টি সিলিন্ডার আছে।

তিনি আরও জানান, করোনার প্রথম ধাক্কায় রামেক হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৩৫ জন রোগী হয়েছিল। ঈদের আগে কমে সেটি ৭১ জনে দাঁড়িয়েছিল। ঈদের পর এখন বাড়তেই আছে। তাই একের পর এক সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হচ্ছে। কিন্তু জায়গা না থাকায় আগামী ৫-৬ মাসেও আইসিইউ শয্যা বাড়ানো সম্ভব হবে না বলেও জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক।

তিনি বলেন, আইসিইউ’র জন্য বাড়তি সুবিধাসম্পন্ন জায়গা দরকার। সেটা হাসপাতালে এই মূহুর্তে আর নেই। প্রথমে করোনার জন্য ১০টি আইসিইউ করা হলেও পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ২০টি করা হয়েছে। আর বাড়ানো সম্ভব হবে না। এখন লকডাউনটা যদি ঠিকঠাকমত হয়, তাহলে হয়ত রোগী কমবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply