রাজশাহীতে শিশু ধর্ষক ও হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

রাজশাহীতে শিশু ধর্ষক ও হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

রাজশাহীতে শিশু ধর্ষক ও হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তি বন্দুকযুদ্ধে নিহত
রাজশাহীতে শিশু ধর্ষক ও হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত মো. শামীম (২১) নামের এক ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগর গ্রামে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত শামীম উপজেলার বাউটিয়া গ্রামের মৃত শফিকের ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম। তিনি জানান, রাতে গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল টহল দেওয়ার সময় একদল দুস্কৃতিকারী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি ছুড়ে। এরপর শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। কিন্তু গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। এ সময় তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পর রাতে শামীমের পরিচয় জানা যায়নি। শুক্রবার সকালে শামীমের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানা যায় যে, এটি একটি চুরি করা ফোন। কয়েকদিন আগে ললিতনগর গ্রামে ধর্ষণ ও খুনের শিকার এক শিশুর বাড়ি থেকে ফোনটি চুরি হয়েছিল। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে যে, চুরি করতে গিয়ে শামীম ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সাথে জড়িত।

এর আগে গত (১৯ জুন) দিবাগত রাতে ললিতনগর মাকরান্দা কোয়ার্টারপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১০) ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের শিকার হয়। ২০ জুন সকালে আনোয়ারের ভাই রফিকুলের ছাদে সুমাইয়ার লাশ পাওয়া যায় খড়ের পালার নিচে। আনোয়ারের বাড়ির ছাদ থেকে তার ভাই রফিকুলের বাড়ির ছাদে যাওয়া যায়। সুমাইয়া সেই রাতে একাই ঘুমিয়েছিল। তাকে তুলে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এ নিয়ে থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন নিহত শিশু সুমাইয়ার দাদা।

গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, শামীমের কাছ থেকে সুমাইয়ার চাচাতো বোনের মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। যে রাতে সুমাইয়া ধর্ষণ ও খুনের শিকার হয় সেই রাতেই ফোনটি চুরি হয়েছিল। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে চুরি, ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে শামীম জড়িত ছিল।

তিনি জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শামীমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তদন্ত কেন্দ্রের ইনচাজ।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply