নগরীতে চলছে জুয়া ও মাদকের রমরমা কারবার, নিরব প্রশাসন !

নগরীতে চলছে জুয়া ও মাদকের রমরমা কারবার, নিরব প্রশাসন !

নগরীতে চলছে জুয়া ও মাদকের রমরমা কারবার, নিরব প্রশাসন !
নগরীতে চলছে জুয়া ও মাদকের রমরমা কারবার, নিরব প্রশাসন !

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন হাদির মোড় খাদেমুল ইসলাম জামে মসজিদের দক্ষিণে নদীর পাড় এলাকায় চলছে জুয়ার রমরমা আসর।

জুয়া খেলার পাশাপাশি চলছে মাদক বাণিজ্য। খাদেমুল ইসলাম জামে মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে নদীর পাড় এলাকায় প্রায় ঘরে ঘরে জুয়া খেলা পরিচালনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্থান পরিবর্তন করে কখনো খোলা মাঠে,আবার কখনো ঘরের মধ্যে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জুয়া খেলানো হয়। কখনো পলাশের বাড়িতে, কখনো পলাশের চাচাতো ভাই মমিনের বাড়িতে, আবার কখনো আরেক চাচাতো ভাই ফকিরের বাড়িতে, কখনো বা খোলা মাঠে এই জুয়া খেলা পরিচালনা হয়।

জুয়ার আসর দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে ১৫ থেকে ২০ জন কিশোর।তাদের কাজ প্রশাসন আসলেই সিগন্যাল দেওয়া।

এসকল কিশোর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে নেশা করে বসে থাকে এবং তাদের মাধ্যমেই মাদকের সরবরাহ করে থাকে জনৈক মোঃ পলাশ আলী।

এই জুয়ার আসরে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা, ট্যাপেন্টাডল, গাঁজা ও হেরোইন।

জুয়া খেলার পাশাপাশি মাদক সেবন ও বিভিন্ন স্থানে চাহিদামত মাদক পৌঁছে দিচ্ছে জুয়ার আসর সিন্ডিকেটের মূল হোতা জনৈক মোঃ পলাশ আলী।

স্থানীয়রা বলছেন, মোঃ পলাশ আলী বোয়ালিয়া মডেল থানার এএসআই চঞ্চলের প্রাইভেটকার দেখাশোনা করে এবং ওই অফিসারের একান্ত সোর্স। এএসআই চঞ্চলকে প্রায় সময় এলাকায় আসতে দেখা যায় এবং ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটায় এই এলাকা। এরই ধারাবাহিকতায় পলাশ জুয়া ও মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে এলাকায়। এর কারণে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। পাশাপাশি যুবক কিশোররা মাদকাশক্ত হয়ে পড়ছে।

অনেকেই এই জুয়ার আসরে সর্বস্বান্ত হয়ে নিজ স্ত্রী কন্যার সামান্য গহনাও বিক্রি করে খোয়াচ্ছে জুয়ার বোর্ডে। পারিবারিক অশান্তি ওই এলাকায় এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

বাঁধের ওপর সাদের আলী দোকানের পাশে সব সময় ১০ থেকে ১৫ জন কিশোর ও যুবক পাহারায় থাকে। এ এলাকায় দিনে রাতে প্রায় সবসময়ই চলে জুয়ার আসর।

পলাশ জুয়ার আসরে বুক ফুলিয়ে বলে,আপনারা নিশ্চিন্তে এখানে জুয়া খেলেন, এখানে পুলিশ প্রশাসন আসবেনা, সব ঠিকঠাক করা আছে। আমি বোয়ালিয়া মডেল থানার এএসআই চঞ্চলের গাড়ির ড্রাইভার।

এ ব্যপারে জানতে এএসআই চঞ্চলের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, আমার কোন গাড়ি নাই। হাদির মোড়ে নদীর পাড়ে যাই ওয়ারেন্টের আসামী ধরতে। পলাশের সাথে তার কোন প্রকার সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply