পরিবেশ দূষণের শিকার বাঘার চন্ডিপুর এলাকাবাসী

পরিবেশ দূষণের শিকার বাঘার চন্ডিপুর এলাকাবাসী

পরিবেশ দূষণের শিকার বাঘার চন্ডিপুর এলাকাবাসী
পরিবেশ দূষণের শিকার বাঘার চন্ডিপুর এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ১নং বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের অধিবাসীরা চরম পরিবেশ দূষণের কবলে পড়েছেন। বছরখানেক আগে চ-িপুর গ্রামে ( চন্ডিপুর বাজার হতে প্রায় ১৫০ গজ পশ্চিমে) ‘বাবা ও মায়ের দোয়া বস্তা বিতান’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিকের ক্যারেট ভাঙ্গার মেশিন বসিয়েছে। এই মেশিনের বিকট শব্দে কালো ধোঁয়া বের হয় এবং ধুলা-বালির সৃষ্টি হয়। দিন ও রাতে অধিকাংশ সময়ই এই মেশিন চালানোর ফলে এলাকার মানুষ রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা অব্যাহত থাকায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নিরুপায় হয়ে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মো: বজলুর রহমান ও মো: রওশন আলম বাবু প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, উপজেলা চেয়ারম্যান, পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ বিভিন্ন দফতরে পৃথকভাবে অভিযোগ করেছেন তারা। পৃথক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের শুরুর দিকে চ-িপুর গ্রামে ( চন্ডিপুর বাজার হতে প্রায় ১৫০ গজ পশ্চিমে) ‘বাবা ও মায়ের দোয়া বস্তা বিতান’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিকের ক্যারেট ভাঙ্গার মেশিন বসায়। এই মেশিনের বিকট শব্দে কালো ধোঁয়া বের হয় এবং ধুলা-বালির সৃষ্টি হয়। দিন ও রাতে অধিকাংশ সময়ই এই মেশিন চালানোর ফলে এলাকার মানুষ রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। বয়স্করা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছেন। গ্রামের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, মেশিনটি যে জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে তার ৫০০ মিটারের মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, একটি মসজিদ ও বাজার রয়েছে। তাই পরিবেশ দূষণের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ ও ওই মেশিনের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক হলেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

এদিকে, প্লাস্টিকের ক্যারেট ভাঙ্গার মেশিন স্থাপন করা হলেও এটির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদন ধরে এই মেশিনের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply