মর্যাদার্পূণ তাহাজ্জুত সালাত বিশেষ হাদীস

মর্যাদার্পূণ তাহাজ্জুত সালাত বিশেষ হাদীস

মর্যাদার্পূণ তাহাজ্জুত সালাত বিশেষ হাদীস
মর্যাদার্পূণ তাহাজ্জুত সালাত বিশেষ হাদীস

ইঞ্জিনিয়ার মীর্জা শ. হাসান: রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ (ঘুম হতে জেগে) সালাত আদায় করা।

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “আর আপনি রাতের এক অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য”। (সুরা আল-ইসরা ১৭/৭৯)

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু’আ পড়তেন- “হে আল্লাহ্‌! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনি আসমান যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আসমান যমীন এবং তাদের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীনের নূর। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আকাশ ও যমীনের মালিক, আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য; আপনার সাক্ষাৎ সত্য; আপনার বাণী সত্য; জান্নাত সত্য; জাহান্নাম সত্য; নবীগণ সত্য; মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য, কিয়ামত সত্য। ইয়া আল্লাহ্‌! আপনার নিকটই আমি আত্মসমর্পণ করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরেই তাওয়াক্‌কুল করলাম, আপনার দিকেই রুজূ’ করলাম; আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই অগ্র পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত সত্য প্রকৃত কোন ইলাহ্ নেই, অথবা (অপর বর্ণনায়) আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন সত্য মা’বূদ নেই।

সুফিয়ান (রহঃ) বলেছেন, আবূ উমাইয়্যাহ (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় (আরবি বাক্যটি) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান (রহঃ)… ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন।

সালিম (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবিতকালে কোন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে বর্ণনা করত। এতে আমার মনে আকাঙ্ক্ষা জাগলো যে, আমি কোন স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বর্ণনা করব। তখন আমি যুবক ছিলাম। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে আমি মসজিদে ঘুমাতাম। আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন দু’জন ফেরেশ্‌তা আমাকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চলেছেন। তা যেন কুপের পাড় বাঁধানোর ন্যায় পাড় বাঁধানো। তাতে দু’টি খুঁটি রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এমন কতক লোক, যাদের আমি চিনতে পারলাম। তখন আমি বলতে লাগলাম, আমি জাহান্নাম হতে আল্লাহ্‌র নিকট পানাহ চাই। তিনি বলেন, তখন অন্য একজন ফেরেশ্‌তা আমাদের সঙ্গে মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, ভয় পেয়ো না।

সাহাবীদের প্রায় সকলে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজসমূহের পর উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদ। (মুসলিম, আলফিয়্যাহ, পৃষ্ঠা ৯৭, হাদিস ৪০৫)। ‘তাহাজ্জুদ অন্ধকারে পড়তে হয়’ ও ‘তাহাজ্জুদ পড়লে জিন আসে’ এবং ‘তাহাজ্জুদ শুরু করলে নিয়মিত আদায় করতে হয়’ এই ভয়ে অনেকে তাহাজ্জুদ পড়েন না।

আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু’আ পড়তেন- “ইয়া আল্লাহ! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীন এবং তাদের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর মালিক আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীন এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুর নূর। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য; আপনার সাক্ষাত সত্য; আপনার বাণী সত্য; জান্নাত সত্য; জাহান্নাম সত্য; নবীগণ সত্য; মুহাম্মাদ সত্য, কিয়ামত সত্য। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পন করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরেই তাওয়াক্কুল করালাম, আপনার দিকেই রুজূ’ করলাম; আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনই অগ্র পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, অথবা (অপর বর্ণনায়) আপনি ব্যতীত আর কোন মা’বূদ নেই।”

রাত জেগে ইবাদত করার ফযীলতঃ  আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ও মাহমুদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবিতকালে কোন ব্যাক্তি স্বপ্ন দেখলে তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে বর্ণনা করত। এতে আমার মনে আকাঙ্খা জাগলো যে, আমি কোন স্বপ্ন দেখলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করব। তখন আমি যুবক ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে মসজিদে ঘুমাতাম। আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন দু’জন ফিরিশতা আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চলেছেন। তা যেন কুপের পাড় বাঁধানোর ন্যায় পাড় বাঁধানে। তাতে দু’টি খুঁটি রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এমন কতক লোক, যাদের আমি চিনতে পারলাম। তখন আমি বলতে লাগলাম, আমি জাহান্নাম থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি বলেন, তখন অন্য একজন ফিরিশতা আমাদের সঙ্গে মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, ভয় পেয় না। আমি এ স্বপ্ন (আমার বোন উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা (রাঃ) এর কাছে বর্ণনা করলাম। এরপর হাফসা (রাঃ) তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করলেন। তখন তিনি বললেনঃ আবদুল্লাহ কতই না ভাল লোক! যদি রাত জেগে সে সালাত (নামায/নামাজ) (তাহাজ্জুদ) আদায় করত! এরপর থেকে আবদুল্লাহ (রাঃ) খুব অল্প সময়ই ঘুমাতেন।

রাতের সালাতে সিজ্দা দীর্ঘ করাঃ আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাজ্জুদের) এগার রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন এবং তা ছিল তাঁর (স্বাভাবিক) সালাত। সে সালাতে তিনি এক একটি সিজ্‌দা এত পরিমাণ (দীর্ঘায়িত) করতেন যে, তোমাদের কেউ (সিজ‌্দা থেকে) তাঁর মাথা তোলার আগে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারত। আর ফজরের (ফরয) সালাতের আগে তিনি দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি ডান কাঁতে শুইতেন যতক্ষণ না সালাতের জন্য তাঁর কাছে মুয়ায্‌যিন আসতো।

আবূ না’আইম (রহঃ) … জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে এক রাত বা দু’রাত তিনি (তাহাজ্জুদ সালাত (নামায/নামাজ)-এর উদ্দেশ্যে) উঠেন নি।

 মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … জুনদাব ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন, এরপর খুতবা দেন। তারপর যবেহ করেন এবং তিনি বলেন, সালাতের পূর্বে যে ব্যাক্তি যবেহ করবে তাকে তার স্থলে ‌আর একটি যবেহ করতে হবে। এবং যে যবেহ করেনি, আল্লাহর নামে তার যবেহ করা উচিৎ।

আবূ না’আইম (রহঃ) … জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে এক রাত বা দু’রাত তিনি (তাহাজ্জুদ সালাত (নামায/নামাজ)-এর উদ্দেশ্যে) উঠেন নি।

মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … জুনদাব বাজালী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি দেখছি, আপনার সাথী আপনার কাছে ওহী নিয়ে আসতে বিলম্ব করে ফেলছে। তখনই নাযিল হলঃ “আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেন নি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হন নি”।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ সালাতে উৎসাহ দানের জন্য একরাতে ফাতিমা ও আলী (রা.)-এর ঘরে গিয়েছিলেন।

১০৫৯। ইবনু মুকাতিল (রহঃ) … উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্! আজ রাতে কত না ফিত্‌না নাযিল করা হল! আজ রাতে কত না (রহমতের) ভান্ডারই নাযিল করা হল! কে জাগিয়ে দিবে হুজরাগুলোর বাসিন্দাদের? ওহে! শোন, দুনিয়ার অনেক বস্ত্র পরিহিতা আখিরাতে বিবস্ত্রা হয়ে যাবে।

আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) এর কাছে এসে বললেনঃ তোমরা কি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছ না? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের আত্মাগুলো তো আল্লাহ্ পাকের হাতে রয়েছে। তিনি যখন আমাদের জাগাতে মর্জি করবেন, জাগিয়ে দিবেন। আমরা যখন একথা বললাম, তখন তিনি চলে গেলেন। আমার কথার কোন প্রত্যুত্তর করলেন না। পরে আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি ফিরে যেতে যেতে আপন উরুতে করাঘাত করছিলেন এবং কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন।

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে আমল করা পছন্দ করতেন, সে আমল কোন কোন সময় এ আশংকায় ছেড়ে দিতেন যে, লোকেরা সে আমল করতে থাকবে, ফলে তাদের উপর তা ফরয হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো চাশ্‌তের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন নি। আমি সে সালাত আদায় করি।

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে মসজিদে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন, কিছু লোক তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলো। পরবর্তী রাতেও তিনি সালাত আদায় করলেন এবং লোক আরো বেড়ে গেল। এরপর তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাতে লোকজন সমবেত হলেন, কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন না। সকাল হলে তিনি বললেনঃ তোমাদের কার্যকলাপ আমি লক্ষ্য করেছি। তোমাদের কাছে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে শুধু এ আশংকাই আমাকে বাধা দিয়েছে যে, তোমাদের উপর তা ফরয হয়ে যাবে। আর ঘটনাটি ছিল রামাযান মাসের (তারাবীহ্‌র সালাতের)।

আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেনঃ আল্লাহ্ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় সালাত হল দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর সালাত (নামায/নামাজ)। আর আল্লাহ্ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় সিয়াম হল দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর সিয়াম। তিনি [দাউদ (আঃ)] অর্ধরাত পর্যন্ত ঘুমাতেন, এক তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ পড়তেন এবং রাতের ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন, এক দিন করতেন না।

ইঞ্জিনিয়ার মীর্জা শ. হাসান
বি.এসসি সিভিল; এল.এল.বি; ই.এম.বি.এ (প্রজেক্ট)

গেষ্ট লেকচালার: এইচ.আর.এম; ব্যসিক ল.; ম্যাথ; (অনার্স-মাস্টার্স)
সদস্য: আই.ই.বি.;
সাংবাদিক বাড়ি, উ্ঃসিলিমপুর বগুড়া ৫৮০০।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply