ফারহানা জেরিন এলমা: গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে তরমুজ সবসময় প্রথম সারিতেই থাকবে। কেননা, এই তীব্র গরমে শরীরকে আর্দ্র রাখতে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি ও বিভিন্ন পানিজাতীয় ফলের। এই ফল যেমন শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে, তেমনি শরীর ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
গরমের ফল তরমুজে আছে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং বি। এ ছাড়া এই ফলে রয়েছে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। মজার ব্যাপার হলো, লাইকোপেনের উপস্থিতির কারণেই এমন লাল টকটকে হয়ে থাকে তরমুজ। তরমুজে রয়েছে ৯২ শতাংশ পানি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে শুধু তরমুজ নয়, এর খোসায়ও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।
আমরা সাধারণত তরমুজের লাল অংশটা খেয়ে সাদা অংশটা ফেলে দিই। অনেক সময় ভুল করে তরমুজের সাদা অংশ খেয়ে ফেলি। তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি নয়; বরং বেশি উপকারী।
পুষ্টিবিদরা বলেন, তরমুজের বাকি অংশের তুলনায় খোসার সাদা অংশ অনেক বেশি উপকারী। এতে ফাইবারের পরিমাণ বাকি তরমুজের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। চিনির মাত্রাও কম। বিস্বাদ বলে তরমুজের যে সাদা অংশটি সবাই ফেলে দেয়, ওটাই আসলে সবচেয়ে বেশি উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
তরমুজের খোসায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। এ ছাড়াও এতে থাকা ফাইবার বিপাকক্রিয়ায়ও দারুণ সাহায্য করে। যারা ডায়েটে আছেন, তারা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন তরমুজের খোসা। তবে খোসার সাদা অংশটি শুধু খাওয়ার উপযোগী। বাইরের সবুজ অংশটি নয়। ভুল করে সবুজ অংশটি খেয়ে ফেললে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে
তরমুজের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গে লড়তে খেতে পারেন তরমুজের খোসার সাদা অংশ।
ত্বকের যত্নে
বয়স বাড়লে ত্বকে বলিরেখা পড়ে যায়। বিভিন্ন দাগছোপ দেখা দেয়। তরমুজের খোসায় রয়েছে লাইকোপেন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই উপাদানগুলো অত্যন্ত উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
তরমুজের খোসায় রয়েছে ‘সাইট্রুলিন’ নামক একধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.