আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফের কিয়েভে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ রাশিয়ার। ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে এই হামলায় কমপক্ষে এক ডজন মানুষ মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছেন। কিয়েভের একাধিক বহুতলে রুশ বিমান হামলায় আটকে পড়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক সাংবাদিক বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুশ হামলায় কেঁপে ওঠে রাজধানী কিয়েভ।
ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আপাতত নিরাপদে রয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ইউক্রেন সফরের মধ্যে রুশ মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে একটি পোস্টে জানিয়েছেন যে শেভচেনকোভস্কি জেলায় দুটি মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রাশিয়া সফর সেরে গতকালই ইউক্রেনে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।যুদ্ধ কবলিত একাধিক এলাকা ঘুরে দেখার সময়ই রুশ মিসাইল হানায় কেঁপে ওঠে কিয়েভ।
এদিকে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান ইউক্রেনকে সোভিয়েত জমানার পুরনো অস্ত্রের বদলে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের জন্য ন্যাটো অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, “‘আমাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। এই যুদ্ধ কয়েক মাস এমনকী, বছর পেরিয়েও চলবে, সেই প্রস্তুতি আমাদের রাখা দরকার।’ কীভাবে তাঁরা ইউক্রেনকে সাহায্য করতে চান, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব। জানিয়েছেন, শুধু তিনিই নন। ন্যাটোর সব শরিকরাই ইউক্রেনকে সাহায্যের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রয়োজনে তাঁরা ইউক্রেনকে ন্যাটোর মানের অস্ত্র ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবেন”।
এর আগেও বুধবার গভীর রাতে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনের একটি টেলিভিশন টাওয়ারের কাছে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া, উভয় সংবাদ সংস্থাই জানিয়েছে যে ধারাবাহিক এই বিস্ফোরণে সাময়িকভাবে রাশিয়ার টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি অবশ্য বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সম্প্রচার ফের শুরু হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, রাশিয়ার টিভি চ্যানেলগুলো গত সপ্তাহেই খেরসন থেকে সম্প্রচার শুরু করেছে। তারপর এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত জোরকদমে চলছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। ৩,৩০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য করতে চান ইউক্রেনকে। এই অর্থ বরাদ্দের অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের কাছে বাইডেন অনুমতি চাইবেন বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানর পথে হাঁটার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.