অনলাইন ডেস্ক: এপারে বাংলাদেশ, ওপরে ভারত। মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া। তবে সেই বেড়া ঈদের খুশিতে বাধা হতে পারেনি। ঈদ উপলক্ষ্যে দুই দেশে থাকা স্বজনদের একনজর দেখাতে হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন শত শত মানুষ। এখানে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দূর থেকে স্বজনদের দেখেছেন। কেউবা দূর থেকে হাত নাড়িয়ে ইশারায় কথা বলছেন। আবার কেউ কেউ স্বজনদের সঙ্গে দূর থেকেই ছবি তুলেছেন।
বুধবার (৪ মে) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের। দর্শনাথীরা সীমান্তঘেঁষা রেললাইনে সেলফি তুলছেন। কেউবা দূর থেকে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলছেন। আবার কেউ ভারত দেখায় ব্যস্ত রয়েছেন। বড়দের পাশাপাশি ছােটরাও শামিল হয়েছেন এই আনন্দ উপভোগে।
কথা হয় রংপুর থেকে আসা একটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারা জানান, আমরা এসেছি রংপুর থেকে চাচার সঙ্গে দেখা করতে। তিনি ভারতের হিলিতে থাকেন।
বগুড়া থেকে আসা কয়েকজন জানান, আমরা এখানে এসেছি হিলি বর্ডার দেখতে। অনেকে বলে হিলি বর্ডার নাকি খুব সুন্দর। কাছ থেকে ভারত দেখা যায়। ভারতের মানুষজন দেখা যায়। বর্ডার দেখার খুব শখ ছিল। দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে আমাদের।
একজন দর্শনার্থী জানান, আমরা চার ভাইবোন ভারতে থাকেন। শুধু আমি আমার পরিবার নিয়ে বাংলাদশ থাকি। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হােয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। আজকে সরাসরি কথা বলতে না পারলেও দূর থেকে একনজর দেখে খুব খুশি লাগছে।
আর একজন দশনার্থীরা জানান, ছেলেমেয়েদের বিনােদনের উদ্দশ্যেই হিলি সীমান্ত এলাকা দেখতে এসেছি। এত দিন শুনেই এসেছি আজ কাছ থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখলাম। এখানে ঘুরে বেরিয়েছি, ছবি তুলছি, সব মিলিয়ে খুব ভালাে লাগল।
কয়েকজন দর্শনার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন করোনা মহামারির কারণে গত ঈদগুলোতে আনন্দ করতে পারিনি। আজকে ঈদের দ্বিতীয় দিন বেরিয়েছি আনন্দ করতে। হিলি বর্ডার দেখতে এসেছি। দেখলাম, খুব সুন্দর লাগল।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.