অনলাইন ডেস্ক: জেলার কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ মে) সকালে কালাই উপজেলার দুধাইল নয়াপাড়া গ্রাম থেকে শিপন বেগম (৪০) ও শুক্রবার রাতে ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া থেকে বিউটি খাতুনের (১৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কালাই থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন জানান, দুধাইল গ্রামের খুন হওয়া শিপন বেগম স্থানীয় তোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শিপন বেগম আলাদা একটি ঘরে থাকতেন। শনিবার সকালে বড় ছেলে মাকে ডাকতে এসে দেখতে পায় রক্তাক্ত মরদেহ বিছানার নিচে পড়ে রয়েছে। এ ঘটনায় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং চেয়ারম্যানসহ পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বাড়ির দুইতালা থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পারিবারিক কলহের ঘটনায় এই খুনের ঘটনা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে পুলিশ। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে খুনের ঘটনা কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান, ওসি মঈনুদ্দীন।
অপরদিকে, ক্ষেতলাল থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী জানান, শিবপুর (পূর্বপাড়া) গামের প্রবাসী শাহ আলমের ছেলে উজ্জ্বল হোসেনের (২১) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড়া গ্রামের বিউটি খাতুনের। প্রেমের টানে বিউটি গত ২১ এপ্রিল ছেলে উজ্জ্বলের বাড়িতে চলে আসে। বিউটি বিয়ের চাপ দিলে উজ্জ্বল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাড়ির পায়খানার কুপের মধ্যে লাশ গুম করে রাখে।
তিনি আরও জানান, এ অবস্থায় বিউটির পরিবার বিষয়টি বগুড়া পুলিশকে জানায়। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে বগুড়া সদর সার্কেলের অফিসার শরাফত ইসলামের নেতৃত্বে একটি টীম। এতে ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে উজ্জ্বল হোসেনের সম্পৃক্ততা থাকায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে উজ্জ্বল। পরে শুক্রবার রাত ২টার দিকে উজ্জ্বলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাড়ির পায়খানার কুপ থেকে বিউটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.