আবার বিস্ফোরণ হতে পারে—এমন আতঙ্কে অনেক সীতাকুণ্ডবাসী তাদের ঘরবাড়ি ছাড়ছেন

আবার বিস্ফোরণ হতে পারে—এমন আতঙ্কে অনেক সীতাকুণ্ডবাসী তাদের ঘরবাড়ি ছাড়ছেন

আবার বিস্ফোরণ হতে পারে—এমন আতঙ্কে অনেক সীতাকুণ্ডবাসী তাদের ঘরবাড়ি ছাড়ছেন
আবার বিস্ফোরণ হতে পারে—এমন আতঙ্কে অনেক সীতাকুণ্ডবাসী তাদের ঘরবাড়ি ছাড়ছেন

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরেণের ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সোমবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিপোতে আগুন জ্বলছিল, উঠছিল ধোঁয়া। ফলে আতঙ্ক কাটেনি কারোর।

যদিও আগুন নিয়ন্ত্রণে বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও সেনাসদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, ডিপোর পশ্চিম পাশের যে কটি কনটেইনার আছে, এখনো সেগুলো জ্বলছে। সেখানে রাসায়নিক না থাকলে আগুন হয়তো আর ছড়াবে না। কিন্তু রাসায়নিক থাকলে নতুন বিস্ফোরণের আশঙ্কা আছে। কিন্তু সেখানে রাসায়নিক আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এরই মধ্যে আবার বিস্ফোরণ হতে পারে—এমন আতঙ্কে অনেক সীতাকুণ্ডবাসী তাদের ঘরবাড়ি ছাড়ছেন। ডিপোর আশপাশের গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, আতঙ্কিত লোকজনের অনেকে আত্মীয়র বাড়িতে চলে গেছেন। কেউ কেউ আবার যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ডিপোতে যারা কাজ করতেন, তাদের থাকার ঘরগুলো প্রায় খালি হয়ে গেছে।

শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে যখন বিস্ফোরণ হয়, তখন আশপাশের চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। টেলিভিশন, ফ্রিজ ও বৈদ্যুতিক পাখাও নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর থেকেই ঘুম নেই ওই এলাকার মানুষের। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রোববারও নির্ঘুম রাত পার করেন তারা।

এলাকার বাসিন্দা রুহুল কুদ্দুস জানান, আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরিবার নিয়ে রাতভর ভয়ে ছিলেন। তা ছাড়া দরজা-জানালা ভেঙে যাওয়ায় চুরি-ডাকাতির চিন্তাও ছিল। তাই এখন সবাইকে নিয়ে আনোয়ারা চলে যাচ্ছেন আত্মীয়র বাড়িতে।

সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কনটেইনার ডিপো এলাকার আশপাশের এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা গতকাল রাতভর আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। তারা সারা রাত ঘুমাননি। এর মধ্যে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন আত্মীয়র বাড়িতে।

আরও পড়ুন : এখনো জ্বলছে আগুন, উঠছে ধোঁয়া

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, বিস্ফোরণে ঘরের দরজা ও জানালা ভেঙে যাওয়ায় চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

এদিকে, এখন পর্যন্ত নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত হয়নি এমন ব্যক্তিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply