আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইজরায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষকের দাবি, তাঁরা আবিষ্কার করেছেন এডস নির্মূলের পদ্ধতি। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায়।
জিন এডিটিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করা গিয়েছে এমন একটি ওষুধ যা সারিয়ে দিতে পারে এডসের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি। এমনটাই দাবি করলেন, ইজরায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য জর্জ এস ওয়াইজ ফ্যাকাল্টি অব লাইফ সায়েন্সের নিউরো-বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও বায়োফিজিক্সের গবেষকরা। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’এ সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এই ওষুধ সংক্রান্ত গবেষণাটি।
প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞানী মহলে সাড়া পড়ে গিয়েছে। হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি এক বার মানব শরীরে প্রবেশ করলে তা আক্রমণ করে দেহের অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটি ব্যবস্থাকে।
দেখা দেয় অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম, যাকে এক কথায় বলে এডস। এখনও পর্যন্ত এই রোগ সম্পূর্ণ ভাবে নিরাময় করার মতো কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি জানা নেই। তাই এই আবিষ্কারটি সত্যি প্রমাণিত হলে যা চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
বিজ্ঞানীদের দাবি, একটি মাত্র ইনজেকশনেই মিলতে পারে অভাবনীয় ফলাফল। মানবদেহে বি-সেল নামক এক বিশেষ ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা থাকে যা অস্থিমজ্জা থেকে উৎপন্ন হয় ও বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে।
বিজ্ঞানীরা সিআরআইএসপিআর নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে এই বি-সেলের জিনগত উপাদানে বদল এনেছেন। এর ফলে ওই বি-সেলগুলি ভাইরাসের সংস্পর্শে এলেই বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিবডি উৎপাদন করছে যা ধ্বংস করে দিচ্ছে ভাইরাসটিকে।
বিজ্ঞানীদের আশা, এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্যানসারের মতো রোগেরও ওষুধ তৈরি করা সম্ভব।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.