আরএমপি পুলিশ লাইন্সে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আরএমপি পুলিশ লাইন্সে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আরএমপি পুলিশ লাইন্সে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরএমপি পুলিশ লাইন্সে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, এমপি, মন্ত্রী,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আরএমপি’র উদ্যোগে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো: আবু কালাম সিদ্দিক।

সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, মাদকের ছোবল থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। আমরা মাদক উৎপাদন করি না তবুও এর ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। এখন আর কেউ প্রকাশ্যে ধুমপান করে না। আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। সমাজকে মাদকমুক্ত করা সরকার বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষের সম্ভব নয়, সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনে সফল হয়েছে। এছাড়াও তিনি করোনাকালীন সময়ে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সি প্রশংসা করেন।

২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশকে পাল্টে দিবেন। আজ প্রধানমন্ত্রী   তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন বলেও তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এমন আয়োজনে আরএমপি পুলিশ কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।

মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে, সোনার মানুষ গড়তে হবে। কিন্তু মাদক ও সন্ত্রাসবাদের কারণে সেটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে আরএমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং-এর মাধ্যমেও জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করছে আরএমপি। এছাড়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম ব্যর্থতায় পর্যবসিত করতে আরএমপি’র রয়েছে সিআরটি ও বোম ডিসপোজাল টিম।

সেই সাথে আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার নগর জুড়ে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।সমাবেশের পূর্বে প্রধান অতিথি আরএমপি’র উদ্যোগে পুলিশ কমিশনারের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, রাজশাহী’র উদ্বোধন করেন।

এছাড়াও তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন করেন ও শহিদ পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ও পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা প্রদান করেন।সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন, মেয়র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, মো: আখতার হোসেন, সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি, বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী, মো: আব্দুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম, ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ, জনাব আব্দুল জলিল, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী ও এ বি এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, রাজশাহী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ পুলিশ পরিবারের সদস্যগণ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ-সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply