রাজশাহী মহানগরীর তিনটি ওয়ার্ডে শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ

রাজশাহী মহানগরীর তিনটি ওয়ার্ডে শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ

রাজশাহী মহানগরীর তিনটি ওয়ার্ডে শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ
রাজশাহী মহানগরীর তিনটি ওয়ার্ডে শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ

মাসুদ রানা রাব্বানী: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ইউএস সিডিসি  (US CDC) এর অর্থায়নে ও সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশ এর কারিগরী সহায়তায় নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী মহানগরীর নির্বাচিত তিনটি ওয়ার্ডের ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের সরিৎ দত্তগুপ্ত সভাকক্ষে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং সংবাদ সম্মেলনে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।
 
সভায় শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়ন বিষয়ক কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য রোগতত্ত্ববিদ ডা. তামান্না বাসার।
ডা. তামান্না বাসার জানান, দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৭, ১৫ ও ২৭ নং ওয়ার্ডে ‘অপুষ্টি যাচাইকরণ ও পুষ্টি প্যাক বিতরণ কর্মসূচি’ বিষয়ক ৫২ দিনব্যাপী অপুষ্টি যাচাইকরণ এবং পুষ্টি প্যাক বিতরণ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৪ শে এপ্রিল থেকে ৭ তে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত  উক্ত ৩ টি ওয়ার্ডে অপুষ্টি যাচাইকরণ, পুষ্টি প্যাক বিতরণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোস্টার, লিফলেট বিলি করা হয়।
 
ডা. তামান্না বাসার জানান, ক্যাম্পেইন হতে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৭, ১৫ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের স্লাম এরিয়ায় মোট ৩১৮৪জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৯% শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ছেলে শিশু মেয়ে শিশুর চেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। কর্মসূচির আওতায় নগরীর ৩১৮৪জন শিশুর সঠিক ওজন ও উচ্চতা যাচাই, অপুষ্টি কী, পুরিপুরক খাবার এবং কোন বয়সে কী পরিমান খাবার খেতে হবে সে সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের মাঝে ২৪ হাজার ৭৫০ পুষ্টি প্যাক সরবরাহ করা হয়। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের বয়সের সাথে বেড়ে ওঠা স্ক্রিনিং এবং পুষ্টি কার্ড বিতরণ করা হয়। ক্যাম্পেইন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী জ্ঞান যাচাই কার্যক্রমের প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ক্যাম্পেইনের আগে শিশুর মায়েদের মধ্যে অপুষ্টি এবং পুরিপুরক খাবার এবং কোন বয়সে কী পরিমান খাবার খেতে হবে সংক্রান্ত জ্ঞান ছিল ১১.৬ শতাংশ, যা ক্যাম্পেইনের পরবর্তীতে ৫৬% উন্নীত হয়।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply