ফারহানা জেরিন: বেশির ভাগ চায়ের দোকানেই আপনি আদা চা পেয়ে যাবেন। অবশ্য চাইলে ঘরেও তৈরি করতে পারেন আদা চা। মনে রাখবেন, লাল বা রং চা বলে পরিচিত যে চা, সেটাতেই আদা যোগ করতে হবে, দুধ চায়ে নয়। কেন আদা চা স্বাস্থ্যকর —এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে বিশেষজ্ঞ কিছু কথা জেনে নিন ।
১) বমিবমি ভাব কেটে যায়: বাসে যাতায়াত বা ভ্রমণের সময় অনেকেরই বমির সমস্যা হয়। তাই বেরুনোর আগে আদা চা গ্রহণ বমি ভাব ও বমি প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাঁদের এই রকম সমস্যা রয়েছে , তাঁরা ভ্রমণের আগে এক কাপ চা খেয়ে নিলে বমি থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন।পথে ঘটে অসস্তিতে পরবেন না ।
২)পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা ভালো রাখে: আদা চা খাবারকে ভালোভাবে হজম করার পক্ষে খুব উপযোগী । খাদ্য শোষণ বৃদ্ধি করে। তাই হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, খেতে পারেন আদা চা।
৩) প্রদাহরোধী: আদা চায়ের মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। যা আপনার পেশি ও গাঁটের প্রদাহ প্রতিরোধের জন্য চমৎকার। এই পানীয়র গুরুত্ব বুঝুন।
৪) শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায়: শীতের সময় ঠান্ডা লাগা কাশি এসব তো হবেই কিন্তু কি জানেন এই সময় আদা চা ঠান্ডা কাশি কমাতে ভালো কাজে দেয়, শুধু কি তাই শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাও প্রতিরোধ করে থাকে । শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া সমাধানে অবলম্বন করতে আদা চা খেয়ে দেখতে পারেন।
৫) রক্ত চলাচল ভালো রাখে: আদার মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। এতে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা কমতে কার্যকরি হয়। এছাড়া আর্টারিতে চর্বি জমে থাকা প্রতিরোধে আদার বিশেষ ভূমিকা আছে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
৬) ঋতুস্রাবের সমস্যায়: ঋতুস্রাবের ব্যথায় প্রায় সব নারী কমবেশি ভোগেন, তাই এ সময় আদা চা মধু দিয়ে খেতে পারেন। অনেকটা আরামদায়ক হবে।
৭) মানসিক চাপ কমায়: এখন কম বেশি মানসিক চাপ সবার ।আদা চায়ের মধ্যে এমন গুণ আছে যে এটি মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে থাকে । এ ছাড়াও এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমান বেশি বলে আদা চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আদা চা খেতে চাইলে আপনি বেশির ভাগ চায়ের দোকানেই আদা চা পেয়ে যাবেন। তবে চাইলে ঘরেও নিজের ইচ্ছামতো তৈরি করে খেতে পারেন আদা চা।
কীভাবে তৈরি করবেন আদা চা?
উপকরণ: প্রথমত দুইকাপের বেশি জল নিন ।তারপর এতে ২ ইঞ্চি খোসাসহ আদা। আর চা পাতা আধা চা-চামচ। স্বাদমতো মধু বা চিনি নিয়ে নেবেন (তবে ইচ্ছে হলে নেবেন না হলে নাও দিতে পারেন)।
চা তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে জল ভালোমতো ফুটিয়ে যাবেন । তারপর ওই ফুটন্ত জলতে আদা থেতলিয়ে দিয়ে দিতে হবে।আর ঠিক ৫ থেকে ৭ মিনিট পর চা পাতা ও চিনি দিন। ভালোমতো ফুটিয়ে ওভেন বন্ধ করে পরিমান মতো লেবুর রস দিন। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বলছি চিনি বাদ দিয়ে পান করা আপনাদের পক্ষে শ্রেয়। নিজে সুস্থ থাকুন আর অপরকে সুস্থ রাখুন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.