যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন
যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

অনলাইন ডেস্ক: যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে গাছের সাধে বেঁধে শ্বশুর- শ্বাশুরী- ননদ কর্তৃক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংবাদ পেয়ে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানা পুলিশ ওই গৃহবধূকে বুধবার রাত ১১টায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেলে দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের (উত্তর পাড়া) কোরের পাড় দুলাল মিয়ার বাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয়দের সহযোগীতায় নির্যাতিতা গৃবধূর হাতের বাঁধন খুলে দিলেও ঘরে আটক রেখে রাতে পুনরায় নির্যাতন চালায়। সংবাদ পেয়ে গৃহবধূর স্বজনরা ওই বাড়িতে গেলে তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি।

পরে দেবিদ্বার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) সারোয়ার তালুকদার একদল পুলিশ গিয়ে রাত ১১টায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা আরো জানান, প্রায় ১২ বছর পূর্বে উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের সুজাত আলীর কণ্যা জোৎস্না বেগমের সাথে ধামতী গ্রামের (উত্তর পাড়া) কোরের পাড় দুলাল মিয়ার পুত্র হেলাল এর সাথে ৩লক্ষ টাকা দেন মোহরানায় বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে হয়।

বিয়ের পরপরই বাবা মারা যান। এরই মধ্যে তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জন্ম হয়। প্রায় ৩ বছর পূর্বে হেলাল বাহরাইন যাওয়ার সময় আরো ২ লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে মেয়ের ভাইদের পক্ষ থেকে আরো ১ লক্ষ টাকা দেন। ৩ বছর পর দেশে আসলে হেলালের মায়ের কথায় সে তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালায়। ৩ মাস দেশে থাকার পর হেলাল আবার বিদেশ চলে যায়।

নির্যাতিতা গৃহবধূর ছোট ভাই জামাল হোসেন জানান, আরো টাকার জন্য প্রতিনিয়ত আমার বোনের শ্বশুর দুলাল মিয়া, শ্বাশুরি জুলেখা বেগম, ননদ মৌসুমী ও পাখী তার উপর প্রতি নিয়ত নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

বুধবার বিকেলে আরো একলক্ষ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে চাপ দেয়। বোন রাজী না হওয়ায় শ্বশুর, শ্বাশুরী ও ননদেরা মিলে দু’টি নারিকেল গাছের সাথে দু’হাত বেঁধে শাররীক নির্যাতন চালায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় তার হাতের বাধন খুলে দিলেও রাতে আবারো নির্যাতন চালাতে থাকে। আমরা তাদের বাড়িতে গেলে আমাদের বের করে দেয়। পরে পুলিশের সহযোগীতায় বুধবার রাত ১১টায় উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই।

এ ব্যাপারে নির্যাতিতা গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির কারোর সাথে যোগাযোগ ও কথা বলার সুযোগ হয়নি।

দেবিদ্বার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) সারোয়ার তালুকদার জানান, বিষয়টি পারিবারিক, তাই মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার ভাই ও স্বজনদের কাছে উদ্ধার করে দেই। গৃহবধু মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

যাযাদি/ সোহেল

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply