বাড়ছে বায়ুদূষণের হার, ফুসফুস সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে রোজের পাতে রাখবেন কোন ফলটি?

বাড়ছে বায়ুদূষণের হার, ফুসফুস সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে রোজের পাতে রাখবেন কোন ফলটি?

বাড়ছে বায়ুদূষণের হার, ফুসফুস সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে রোজের পাতে রাখবেন কোন ফলটি?
বাড়ছে বায়ুদূষণের হার, ফুসফুস সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে রোজের পাতে রাখবেন কোন ফলটি?

ফারহানা জেরিন: প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা বায়ুদূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হতে পারে ফুসফুসের জন্য। কাজেই সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া জরুরি। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কোন ফল?

বায়ুদূষণের মাত্রা ঊর্ধ্বগামী। গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া তো রয়েছেই। সদ্য উৎসব পেরিয়েছে। বাজির বারুদের ধোঁয়া মিশেছে বাতাসে। এমন পরিবেশে ক্ষতি হয় ফুসফুসের। শরীরেরে অন্যতম একটি অঙ্গ হল ফুসফুস।

প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা বায়ুদূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হতে পারে ফুসফুসের জন্য। কাজেই সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া জরুরি। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আতা।

ভিটামিন বি৬-সমৃদ্ধ আতা ফুসফুস সুস্থ রাখে। হাঁপানি রোগীদের কাছে এই ফল হতে পারে মহৌষধি। ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে আতার জুড়ি মেলা ভার। আতায় থাকা উপাদানগুলি ব্রঙ্কিয়াল টিউবে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রদাহ দূর করে। তবে আতা শুধু যে ফুসফুসের দেখভাল করে তা নয়।

কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে আতার ভূমিকা অনবদ্য। তবে অনেকেরই ধারণা, ডায়াবিটিস থাকলে বুঝি আতা খাওয়া যায় না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আতার স্বাদ মিষ্টি। কিন্তু এই ফলে শর্করার পরিমাণ এমন কিছু বেশি নয়। ১০০ গ্রাম আতায় ক্যালোরির পরিমাণ ৯৪। প্রোটিন ২.১ গ্রাম।

ফাইবার ৪.৪ গ্রাম। ফ্যাট নেই বললেই চলে। কার্বোহাইড্রেট ২৩.৬ গ্রাম। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি নয়। ফলে ডায়াবিটিস রোগীরা এই ফলটি খেতে পারেন। আতায় পলিফেনলিক নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।

আতায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো উপকারী সব উপাদান। ফুসফুস যত্নে রাখতে এই উপাদানগুলি দারুণ কার্যকর। আর আতার ফাইবার উপাদান ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফুসফুস ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ছেও।

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরনে বদল আসা মানেই বুঝতে হবে সুস্থ নেই ফুসফুস। কখনও আবার অল্প হাঁটাহাঁটি কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই দম ফুরিয়ে যায়। এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই। সেই সঙ্গে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন আতা। এর নানা পুষ্টিগুণ আপনার ফুসফুসকে সুস্থ রাখবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply