আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জ্বালানি আর নেশা, দুই যখন শেষ, তখন সম্বিৎ ফেরে যুবকের। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মাঝসমুদ্রে। ফেরার উপায় নেই। ৩৬ ঘণ্টা পর মাঝসমুদ্র থেকে হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে ডাঙায় ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
পেটে দু’পাত্তর পড়লে কারও মনে হয় ‘হাওয়া খাই’! কারও মনে হয় একটু ‘বেড়িয়ে আসি’! তাঁরও মনে হয়েছিল। তাই মুম্বইয়ের ভাসাই বন্দর থেকে আস্ত একটা নৌকা চুরি করে বেরিয়ে পড়েছিলেন আরব সাগরের বুকে। জ্বালানি আর নেশা, দুই যখন শেষ, তখন সম্বিৎ ফেরে যুবকের। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মাঝসমুদ্রে। ফেরার উপায় নেই। ৩৬ ঘণ্টা পর মাঝসমুদ্র থেকে হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে ডাঙায় ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
বুধবার ভোরে ভাসাই থেকে নৌকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বিকাশ নামে ওই যুবক। ৩৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ২২০ কিলোমিটার দূরে রায়গড়ের শ্রীবর্ধন উপকূলের কাছে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। নৌকা চুরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ‘সাভ-পেদ্রু’ নামে নৌকার মালিক ফ্রান্সিস দাম্বারের। বুধবার সকালে দেখেন, ভাসাই বন্দরে তাঁর নৌকা নেই। থানায় খবর দেন। নৌকায় তখন ২০০ লিটার জ্বালানি ছিল। আর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পণ্য ছিল। নৌকার সঙ্গেই বেপাত্তা বিকাশ। দিন কয়েক আগেই বিকাশকে কাজে নিয়েছিলেন ফ্রান্সিস। বিকাশ পালঘরের এক আদিবাসী যুবক। পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের কয়েক জন মৎস্যজীবী পুলিশকে জানান, বুধবার একটি নৌকাকে তাঁরা কোঙ্কণ উপকূলের দিকে ভেসে যেতে দেখেছিলেন। নৌকাটি যে ভাসাই বন্দরের, সে কথাও জানান তাঁরা। ভাসাই বন্দরের নিজস্ব প্রতীক দেখে তাঁরা চিনতে পেরেছেন সেটি। এর পরেই মাঝসমুদ্রে গিয়ে বিকাশ সমেত নৌকাকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার পর তাতে জ্বালানি ভরে ভাসাই বন্দরে ফেরে। পুলিশ জানিয়েছে, বিকাশ আগে দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক বন্দরে কাজ করতেন। তাই ওই সমুদ্রপথ তাঁর চেনা ছিল, যেখান দিয়ে নৌকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন তিনি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.