ফারহানা জেরিন : ওজন কমানো হোক বা নিখুঁত ত্বক পাওয়ার উপায়, আমন্ডের গুরুত্ব সবসময় বেশি। এমনকী ঘন ও সুন্দর চুল পেতেও আমন্ডের তেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই বাদাম আপনার যৌন জীবনে আরও রোম্যান্স এনে দিতে পারে।
দিনের শুরুটা সকলেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে করতে চান। তাই অনেকেই সকালে খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি রোজ ৪-৬টা ভেজানো আমন্ড খান, একাধিক রোগের হাত থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
আমন্ডের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ফাইবার, বায়োটিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরির পরিমাণও কম। তাই পুষ্টির ভাণ্ডার বলা চলে আমন্ডকে।
আমন্ডের মধ্যে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। একে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বলা হয়। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই উপায়ে আমন্ড হার্টের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
আমন্ডের গ্লাইসেমিক সূচক কম। অন্যান্য উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের তুলনায় আমন্ড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা স্ন্যাকস হিসেবে আমন্ড খেতে পারেন। সুগার লেভেল একদম বশে থাকবে।
এক আউন্স আমন্ডের মধ্যে ১৬০ ক্যালোরি থাকে। তবে, এই বাদাম প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর। তাই আমন্ড খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকে এবং মুখরোচক খাবার খাওয়া আকাঙ্ক্ষা কমে। এতে ওজনকে হাতের মুঠো রাখা সহজ হয়।
আমন্ডের মধ্যে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি অক্সিডেটিভ ভাপ কমায় এবং ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে আমন্ড। সুন্দর চুল গঠনে সাহায্য করে এই বাদাম।
যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে আমন্ড। আমন্ডের মধ্যে জিঙ্ক ও সেলেনিয়ামের মতো পুষ্টি রয়েছে। এটি প্রজনন স্বাস্থ্য এবং হরমোনের উত্পাদনকে সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই আমন্ড খেলে কোনও ক্ষতিই হবে না। বরং, হাজারো উপকার পাবেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.