গুরুদাসপুরে ৪র্থ শ্রেণীর কণ্যা শিশুটিকে দেখতে র‌্যাব নারী কল্যান সমিতি

গুরুদাসপুরে ৪র্থ শ্রেণীর কণ্যা শিশুটিকে দেখতে র‌্যাব নারী কল্যান সমিতি

গুরুদাসপুরে ৪র্থ শ্রেণীর কণ্যা শিশুটিকে দেখতে র‌্যাব নারী কল্যান সমিতি
গুরুদাসপুরে ৪র্থ শ্রেণীর কণ্যা শিশুটিকে দেখতে র‌্যাব নারী কল্যান সমিতি

মাসুদ রানা রাব্বানী রাজশাহী: নাটোরের গুরুদাসপুর ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ বৃষ্টি খাতুনকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ফুটফুটে কণ্যা শিশুর জন্ম দেয়। সদ্য ভুমিষ্ট কণ্যা শিশুটিকে দেখতে র‌্যাব নারী কল্যান সমিতি, রাজশাহী অঞ্চল এগিয়ে আসে।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শিশুটিসহ ভিকটিমকে দেখতে তার বাড়ী গুরুদাসপুরে যান র‌্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রিয়াজ শাহ্রিয়ার, পিএসসি, জি। এ সময় র‌্যাব নারী কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা-সহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্য-দ্রব্য প্রদান করেন।

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার মামলার নং-২৪/১৫৬, তারিখ-১৮/০৬/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৯(১), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-০৩)।

জাসনা গেছে,  গত ১৮ (নভেম্বর) শুক্রবার দুপুর ১টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫০) ভিকটিমের মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে আসামী ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর কারণে প্রাণের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। আসামীর বিকৃত যৌন আকাক্সক্ষার শিকারে ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে ভিকটিমের দাদী তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫০) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাটি জানায়।  এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর দাদী স্থানীয় ক্লিনিকে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা করালে জানতে পারেন ভিকটিম ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর গত ১৮ জুন ছাত্রীর দাদী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলার পর হতে আসামী গা ঢাঁকা দেয়।

সংবাদটি প্রকাশিত হলে র‌্যাব-৫ এর সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের চৌকস দল বিষয়টি নজরে আনে এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ধর্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলামকে (৫০) ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানাধীন হেলেঞ্চা এলাকা থেকে গ্রেফতার পূবর্ক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

পরিদর্শণকালের মতবিনিময়ে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক সকল মহলের মানুষকে আহবান করেন যে, সদ্য ভুমিষ্ট কণ্যা শিশু ও ভিকটিমকে সামাজিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠালাভ এবং ভালোভাবে বেচে থাকার জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য মামলার সকল সাক্ষীদের বিজ্ঞ আদালতে যথাযথভাবে সাক্ষ্য প্রদানের আহবান করেন। তিনি আরো অহবান করেন, সমাজের প্রত্যেকটি মানুষকে নৈতিকতার আলোকে সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং তিনি নিশ্চিত করেন যে, র‌্যাব বাংলাদেশের অহংকার ও জনগনের বন্ধু।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply