নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাদল উদ্দিন নামে এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন সজিব খান ও মো. আসাদুজ্জামান।
রোববার (৩ মার্চ) রাতে বাগাতিপাড়া থানা থেকে তাদেরকে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদল উদ্দিন বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
শিক্ষক বাদল উদ্দিন জানান, স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলাম। পথে ক্ষিদ্র মালঞ্চি এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল সজিব খান ও মো. আসাদুজ্জামান এবং পুলিশের স্থানীয় সোর্স বিদ্যুৎ পথরোধ করেন। এ সময় তারা আমাকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। জীবন বাঁচাতে দৌড়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় আশ্রয় নিলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা এগিয়ে আসেন।
পরে দুই পুলিশ সদস্য সেখানে গিয়ে বলেন, আমার কাছে নাকি মাদক আছে। পরে তারা তল্লাশি করে তাদের কাছে থাকা দুটি কাগজ দেখিয়ে বলে এই যে দুই পুরিয়া হিরোইন পাওয়া গেছে। থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিছুদূর যেতেই গাড়ি থামিয়ে বলে ২০০০ টাকা দিলে ছেড়ে দেবে। আমি বলেছি, আমার কাছে অত টাকা নেই। আমার মানিব্যাগে ৪০০ টাকা নিয়ে ২০০০ টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।
পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর পরই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছি। আজ তাদের দু’জনকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে।
কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, কোনো ব্যক্তির অপরাধের জন্য প্রতিষ্ঠান দায় নেবে না। অপরাধী যেই হোক, তার শাস্তি হবেই। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধ অনুসারে তাদের শাস্তি হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.