জামিন না দিয়ে ব্যারিস্টার কাজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

জামিন না দিয়ে ব্যারিস্টার কাজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

জামিন না দিয়ে ব্যারিস্টার কাজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
জামিন না দিয়ে ব্যারিস্টার কাজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

অনলাইন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনায় করা মামলায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দেননি আদালত। তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক কাজল এবারও বিএনপি-জামায়াতপন্থী নীল প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. আসাদুজ্জামান, কায়সার কামাল, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী। পরে মাসুদ আহমেদ তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ফের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ আদালতও জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হবে।

গত ৬ ও ৭ মার্চ ছিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়। দুই দিন ভোট গ্রহণের পর গত ৭ মার্চ রাতে ভোট গণনার সময় নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। বহিরাগতদের উপস্থিতি ও হুমকির কথা উল্লেখ করে রাতে ভোট গণনায় আপত্তি তোলেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মনোনীত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হকসহ সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। কিন্তু আরেক সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী রাতেই ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান।

এ সময় তাকে সমর্থন জানান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেল সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা। নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রার্থীদের এজেন্টকর্মীদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। এ ঘটনায় পরদিন হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন এস আর সিদ্দিকী সাইফ।

মামলায় নাহিদ সুলতানা যুথী ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়।
পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্য চারজন হলেন- আইনজীবী ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক। গত ৯ মার্চ বিকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের চেম্বার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ মার্চ আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী তাকে ৪ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এ মামলায় যুথীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply